দক্ষিণ কোরিয়ায় জিপিএস (GPS) জ্যামিং হামলা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া বলে অভিযোগ করেছে সিউলের সামরিক বাহিনী। এই হামলার ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার বেশ কিছু জাহাজ এবং অসংখ্য বেসামরিক বিমানের কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।
উত্তর কোরিয়ার এই অভিযানের মাত্র এক সপ্তাহ আগে তারা তাদের উন্নত শক্তিশালী কঠিন জ্বালানি ভিত্তিক আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর তারা রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনের যুদ্ধে সৈন্য পাঠিয়েছে।
শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়া তাদের নিজস্ব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সমুদ্রে নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়ার যেকোনো ধরনের উসকানির বিরুদ্ধে সজাগ থাকার সংকল্প জানায়। সিউলের যৌথ প্রধানরা জানান, উত্তর কোরিয়া হেজু এবং কায়েসং এলাকায় জিপিএস জ্যামিং ঘটিয়েছে। এতে কয়েকটি জাহাজ এবং অসংখ্য বেসামরিক বিমান কিছুটা অপারেশনাল ব্যাঘাতের সম্মুখীন হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী পশ্চিম সাগরে জাহাজ ও বিমান চলাচলকারী সকলকে সতর্ক থাকতে বলেছে। সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা উত্তর কোরিয়াকে জোরালোভাবে আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা জিপিএস জ্যামিং অবিলম্বে বন্ধ করে এবং এ থেকে উদ্ভূত যেকোনো সমস্যার জন্য দায়ী থাকবে।
কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। উত্তর কোরিয়া একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে যাচ্ছে, যা জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন। এছাড়া, তারা মে মাস থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় ময়লা ভর্তি বেলুন পাঠাচ্ছে, যা দক্ষিণের পক্ষ থেকে বিরোধী প্রচারণা হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণকে সমর্থন করে এবং তাদের অন্যতম শক্তিশালী সমর্থক। সিউল এবং পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করছে, পিয়ংইয়াং মস্কোকে গোলা-বারুদ এবং ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছে। সাম্প্রতিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দাবি করা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া প্রায় ১০,০০০ সৈন্য রাশিয়ায় পাঠিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপের কারণে এখন সিউল ইউক্রেনকে সরাসরি অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল