শনিবার, ২ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

এক মাসে চতুর্থ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা উত্তর কোরিয়ার

মার্কিন নিরাপত্তায় শঙ্কা

এক মাসে চতুর্থ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা উত্তর কোরিয়ার

লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। যা প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে সঙ্গে আমেরিকাকে ভীতির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।  সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার দেশটি নতুন একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। এক মাসের কম সময়ের মধ্যে এটি চতুর্থবারের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। গতকাল উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ জানায়, বৃহস্পতিবার যুদ্ধবিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষামূলকভাবে ছোড়া হয়। এর মধ্য দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্রটির কার্যকারিতা যাচাই করা হয়েছে। এতে সংযোজন করা হয়েছে একেবারেই নতুন কিছু প্রযুক্তি। নতুন এই যুদ্ধবিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার কয়েকদিন আগেই দেশটি একটি হাইপারসনিক মিসাইল উদ্বোধন করেছে, যেটির পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মন্তব্য করেছেন যে এসব অস্ত্র পরীক্ষাগুলো ‘অস্থিতিশীলতা ও অনিরাপত্তার আশঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে’।

গত মাসেই তারা নতুন ধরনের একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ট্রেন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য নতুন একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল। পিয়ংইয়ং বলছে, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি আত্মরক্ষামূলক। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিচারিতারও অভিযোগ করছে তারা। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, কঠোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পিয়ংইয়ংয়ের যে অস্ত্র কর্মসূচির গতি কমিয়ে আনার কোনো ধরনের আগ্রহ নেই, নতুন এসব পরীক্ষা তাই দেখাচ্ছে। কেসিএনএর খবরে বলা হচ্ছে, নতুন অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট মিসাইল ‘যুদ্ধক্ষেত্রে অসাধারণ দক্ষতা’ প্রদর্শন করবে। নতুন এই মিসাইল পরীক্ষার খবর এমন দিনে জানা গেল, যার আগের দিন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-আন দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের হটলাইন সেবা পুনরায় চালু করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে কিম যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন কূটনৈতিক সমঝোতায় ‘গোয়েন্দাগিরি’ করার।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করার মাধ্যমে পিয়ংইয়ং যে ওয়াশিংটন ও সোলের মধ্যে সুসম্পর্ক ভাঙতে চাইছে- এই মন্তব্য তারই ইঙ্গিত। এমনও হতে পারে যে, ওয়াশিংটন যেন উত্তর কোরিয়ার ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে, সেজন্য সোলের ওপর আস্থা রাখবে পিয়ংইয়ং। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে উত্তর কোরিয়া বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। মহামারীর মধ্যে নিজেদের সবচেয়ে কাছের মিত্র চীনের সঙ্গে প্রায় সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ রেখেছিল তারা। ধারণা করা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি শোচনীয় পরিস্থিতিতে রয়েছে।

গত মাসে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থা জানিয়েছে যে উত্তর কোরিয়া একটি রিঅ্যাকটর পুনরায় চালু করেছে যেটি পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য প্লুুটোনিয়াম তৈরি করতে সক্ষম। জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থা ওই কার্যক্রমকে ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক’ হিসেবে আখ্যায়িত করছে। বিবিসি

সর্বশেষ খবর