শিরোনাম
বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

ইউক্রেনের পাশে থাকার ঘোষণা জি-৭ নেতাদের

ইউক্রেনের পাশে থাকার ঘোষণা জি-৭ নেতাদের

জার্মানির ব্যাভারিয়ায় আলপাইন অঞ্চলের এলমাউ দুর্গে তিন দিন বৈঠক করলেন বিশ্বের সেরা সাত দেশের সংগঠন জি-৭ নেতারা। গতকাল ইউক্রেনকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে নিজ দেশে ফিরে গেছেন তারা -এএফপি

জার্মানির ব্যাভারিয়ায় আলপাইন অঞ্চলের এলমাউ দুর্গে বিশ্বের সেরা সাত অর্থনীতির দেশের নেতারা তিন দিনের সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। গতকাল শেষ হয় এই জি-৭ শীর্ষ বৈঠক। এবারের বৈঠকে প্রাধান্য পায় ইউক্রেন সমস্যা ও চীনের উঠতি অর্থনীতি। সম্মেলন শেষে নেতারা ইউক্রেনের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। বিবিসি জানায়, রাশিয়ার বিরুদ্ধে কীভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা নিয়েও আলোচনা করেন জি-৭ নেতারা। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা যত দিন দরকার হয় ততদিন পর্যন্ত ইউক্রেনকে আর্থিক, মানবিক, সামরিক এবং কূটনৈতিক সমর্থন দিয়ে যাব এবং তাদের পাশে থাকব। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ বলছেন, ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে যাবার ব্যাপারে জি-৭ নেতারা ঐক্যবদ্ধ আছেন। পাশাপাশি এ সংঘাত যেন আরও গুরুতর না হয় সে ব্যাপারেও সতর্ক আছেন। জি-৭ নেতারা ইউক্রেনকে সহায়তা করার জন্য কঠিন সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তবে এমনভাবে তারা কাজ করছেন যাতে রাশিয়া ও ন্যাটোর মধ্যে একটি বড় রকমের সংঘাত এড়ানো যায়।

এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ভিডিও কলের মাধ্যমে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, তিনি চান যেন সামনের শীতকাল আসার আগেই এ যুদ্ধ শেষ হয়।

তিনি রাশিয়ার ওপর চাপ অব্যাহত রাখার জন্য জি-৭ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। পাশাপাশি ইউক্রেনকে যাতে ভারী অস্ত্র, বিমান-বিধ্বংসী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইত্যাদি দেওয়া হয়, সেই আহ্বানও জানান তিনি। এর আগে গত পরশু চীনকে ঠেকাতে ৬০ হাজার কোটি ডলারের তহবিল তৈরির পরিকল্পনা ঘোষণা করে সংগঠনের নেতারা। চীনের আঞ্চলিক ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ (বিআরআই) প্রকল্পের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে উন্নত দেশগুলোর জোট এই পরিকল্পনা নিয়েছে। বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা বিআরআই চাপিয়ে দিয়ে কম আয়ের দেশগুলোকে ঋণজালে আবদ্ধ করছে। এর ফলে চীনের লাভ হচ্ছে। কারণ, তারা এশিয়া, আফ্রিকা  ও  ইউরোপে  বাণিজ্য বিস্তার করতে পারছে।

ইউক্রেন আত্মসমর্পণ করলে অভিযান বন্ধ হবে-রাশিয়া : ইউক্রেন আত্মসমর্পণ করলেই রাশিয়া সেনা অভিযান বন্ধ করবে। গতকাল এ কথা জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন যত দ্রুত আত্মসমর্পণ করবে, রাশিয়া ততো দ্রুত সেনা অভিযান বন্ধ করবে।’ এ সময় ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষকে তাদের সেনাদের অস্ত্রসমর্পণ করার নির্দেশ দিতেও বলেছেন পেসকভ। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন দিক থেকে সবকিছু বন্ধ করতে হবে এবং তাদের সেনাবাহিনীকে অস্ত্রসমর্পণ করার আদেশ দিতে হবে।’ যদিও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বারবার বলছে, কখনোই তার দেশ রাশিয়ার কাছে আত্মসমর্পণ করবে না। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সেনা অভিযান শুরু করে রাশিয়া।

সর্বশেষ খবর