ভারতে মুসলিম জনগোষ্ঠীকে নিপীড়নে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় প্রচারণা চালানোর অভিযোগ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। গত শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
ইসলামভীতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের ২০ কোটিরও বেশি মুসলিমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চালানো নিপীড়নের প্রচারণা ইসলামভীতির সবচেয়ে খারাপ দৃষ্টান্ত। শাহবাজ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ১৫ মার্চকে ইসলামভীতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক দিবস ঘোষণার ফলে জাতিসংঘ এবং এর সদস্য দেশগুলোকে এই সমস্যা মোকাবিলা ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি বাড়াতে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। প্রতিবেশী সব দেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চান জানিয়ে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে ‘দীর্ঘমেয়াদে’ শান্তি চায় পাকিস্তান। আর তা সম্ভব ‘অবৈধভাবে ভারত দখলকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিষয়ে ন্যায্য ও টেকসই’ সমাধানের মাধ্যমে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ জন্য ভারতকে অবশ্যই গঠনমূলক সংলাপের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, দেশটির উচিত ২০১৯ সালের ১৫ আগস্ট নেওয়া ‘অবৈধ’ পদক্ষেপ প্রত্যাহার এবং জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের প্রক্রিয়া এখনই বন্ধ করে শান্তি ও সংলাপের পথে হাঁটার আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা প্রদর্শন করা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন, কাশ্মীরি জনগণ ভারতীয় বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যা, আটক, হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছেন।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলটিকে ভারত হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভূখণ্ডে পরিণত করতে চায় বলেও অভিযোগ করেছেন শাহবাজ।
কাশ্মীর বিষয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাব বাস্তবায়নে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বৈশ্বিক সংস্থাটি। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস তাদের ভূমিকা পালন করবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নেওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তান তাদের পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি। খবর জিও নিউজের।