শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে সরব ধনখড়

ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে সরব ধনখড়

জগদীপ ধনখড়

ভারতের ‘উন্নয়ন, প্রবৃদ্ধি ও মর্যাদার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র’ দৃঢ়ভাবে রোখার পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। এত দিন যা ছিল শাসক দল ও সরকারের অভিযোগ, এবার সেই ‘চক্রান্তের আখ্যান’ রাষ্ট্রীয় স্তরেও উঠে এলো। উপরাষ্ট্রপতি ওই আন্তর্জাতিক চক্রান্তের উল্লেখ করে সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। বলেছেন, ‘এই আগ্রাসন আমাদের দৃঢ়ভাবে রুখতে হবে। প্রত্যেককে গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদের রক্ষক হতে হবে।’ পশ্চিমা গণমাধ্যম ও বিভিন্ন সংগঠন ভারতের বিরুদ্ধে ‘গণতন্ত্রহীনতা, মানবাধিকার হরণ, সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধ বা সাম্প্রদায়িকতা’-সংক্রান্ত যেসব অভিযোগ করেছে, ভারত সরকার তার প্রতিবাদ জানিয়েছে। হিনডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট কিংবা বিবিসির তথ্যচিত্রে যা বলা হয়েছে, সরকারি ও দলীয় স্তরে তারও প্রতিবাদ করা হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় স্তরে কখনো এভাবে সরাসরি ‘চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র তত্ত্বকে’ তুলে ধরা হয়নি। উপরাষ্ট্রপতি ধনখড় গত বুধবার তাঁর বাসভবনে ইন্ডিয়ান ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (আইআইএস) শিক্ষানবিশ (প্রবেশনারি) কর্তাদের এক জমায়েতে এ বিষয়ে সতর্ক ও সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘ভারত সব দিক থেকে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। পশ্চিমা দুনিয়ার তা সহ্য হচ্ছে না। তাই তারা জঘন্য চক্রান্ত চালাচ্ছে। মনগড়া তথ্য হাজির করছে। এ এক অন্য আগ্রাসন। আমাদের শুধু সজাগ থাকলেই চলবে না, দৃঢ়ভাবে ওই চক্রান্তের মোকাবিলা করতে হবে।’

শিক্ষানবিশ সরকারি কর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপচারিতায় উপরাষ্ট্রপতি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বিস্তারিত ব্যাখ্যাও করেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি সাদ্দাম হোসেনের ইরাকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচারণার অবতারণা করেন। বলেন, ঠিক এভাবেই সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে গণনিধন অস্ত্র তৈরির অভিযোগ আনা হয়েছিল। ইরাক আক্রমণের কারণ হিসেবে তা দাঁড় করা হয়েছিল। প্রায় সব পশ্চিমা গণমাধ্যম তা সত্য বলে ধরে নিয়েছিল। কিন্তু দেখা গেল, সেই আখ্যান কতখানি মিথ্যা ছিল! এখন ভারতের বিরুদ্ধে ঠিক সে ধরনের অপপ্রচার শুরু হয়েছে। কারণ, আজকের ভারতের মাথা সব দিকে উঁচু হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর