বেলুন নিয়ে উত্তেজনা শেষই হচ্ছে না কোরিয়া উপদ্বীপে। বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের কাছে উত্তর কোরিয়ার আবর্জনা ভর্তি বেলুন শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় সিউলে। এখানেই থেমে থাকেনি উত্তর কোরিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় পিয়ংইয়ং আরও প্রায় ৫০০ আবর্জনা বোঝাই বেলুন পাঠিয়েছে সিউলের আকাশে।
এতে সিউলের ফ্লাইট বিঘ্নিত হওয়া ছাড়াও আবাসিক একটি ভবনের ছাদে বেলুন পড়ে তাতে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে গতকাল জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মকর্তারা। কোরিয়া এয়ারপোর্টস করপোরেশনের এক কর্মকর্তা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় এমন একটি সন্দেহজনক বেলুনের কারণে সিউলের গিম্পো বিমানবন্দরে ২ ঘণ্টার জন্য উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণ স্থগিত করা হয়।
এদিকে সিউলের কাছের গিয়ংগি প্রদেশে একটি আবাসিক ভবনের ছাদে পড়া বেলুনে আগুন ধরে যায়। পরে দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, আবর্জনা বোঝাই কিছু বেলুনে ‘টাইমড পপার’ ছিল, এটিই আগুন লাগার কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের মুখপাত্র লি সুং-জুন এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘বর্জ্যভর্তি বেলুনের সঙ্গে একটি টাইমার সংযুক্ত করা হয়, যা একটি নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পর বেলুন উড়িয়ে আবর্জনা ছড়িয়ে দেয়।’
গতকাল পর্যন্ত ৪৮০টি বেলুন দক্ষিণ কোরিয়ায় পড়েছে বলে জানান লি। সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া থেকে পাঠানো এমন বেলুনের কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইনচিয়নে বেশ কয়েকবার বিমান পরিবহনে বিঘ্ন ঘটে। দক্ষিণ কোরিয়ার মানবাধিকারকর্মী এবং পিয়ংইয়ং এর পক্ষত্যাগকারীরাও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সমালোচনামূলক লিফলেট ভরা বেলুন বছরের পর বছর ধরে সীমান্তের ওপারে পাঠিয়ে আসছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার নেতার প্রভাবশালী বোন কিম ইয়ো জং দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে নোংরা লিফলেট ভরা বেলুন সীমান্তের কাছে পাঠানোর অভিযোগ করেছিলেন।