মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করলেন শামিম

বাংলাদেশ প্রতিদিনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ‘৩৫০ কোটি টাকা লুটে লাপাত্তা শামিম’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করেছেন জয় গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান শামিম। প্রতিবাদে তিনি বলেন, প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পূর্ণ বানোয়াট, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিনিধির জন্য এটা অত্যন্ত সম্মানহানিকর। তিনি বলেন, আমার কখনো লাপাত্তা হওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমি প্রতিনিয়ত ব্যবসায়িক ও উপজেলা কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে ঢাকা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলায় নিজ গ্রামে অবস্থান করি। আমি কখনো ৩৫০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করিনি। দীর্ঘ ২৭ বছর আমি সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছি।  সমাজের একটি কুচক্রী মহল আমাকে হেয়প্রতিপন্ন ও ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে প্রতিবেদকের কাছে ভুয়া তথ্য প্রদান করেছে। প্রতিবাদে মুজিবুর রহমান শামিম বলেন, যেসব ব্যাংক থেকে আমি ঋণ নিয়েছি, তার সব কটির সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ আছে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তা ফেরত না দেওয়ার কথা প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে তা মিথ্যা। আমি খেলাপি নই। বর্তমানে সব ঋণের কিস্তি ও মুনাফা নিয়মিত পরিশোধ করা হচ্ছে। ব্যবসায়িক কর্মকান্ডে একটি প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া যায় আলাদা বন্ধক রেখে। আমার প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে ঋণ গ্রহণ করা হয়েছে তার সবকটির অস্তিত্ব বিদ্যমান। ট্রাস্ট ব্যাংক খুলনা শাখা থেকে দুটি কোম্পানির নামে ঋণ নিয়েছি বলে সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওই শাখা থেকে তিনটি কোম্পানির বিপরীতে ঋণ গ্রহণ করেছি। আমার আরও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলো হলো- জয় ব্রিকস, জয় পোলট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, জয় ফ্লাওয়ার মিলস, জয় শিপিং, জয় জুট মিল ইত্যাদি। এসব প্রতিষ্ঠান কোনো ধরনের ব্যাংক ঋণ ছাড়াই গড়ে তুলেছি। এসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিভিন্ন এলাকায় স্থাপিত হওয়ার কারণে ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে একাধিক ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ব্যাংকে বন্ধকী রাখা ও ইটভাটায় ব্যবহৃত জমি সব আমার নিজ নামে খতিয়ানভুক্ত। আমি দেশের বাইরে কোনো অর্থ পাচার করিনি।

প্রতিবেদকের বক্তব্য : বিভিন্ন ব্যাংকের তথ্য উপাত্ত সঠিকভাবে সংগ্রহ করেই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবাদে তিনি উল্লেখ করেছেন, কখনো তিনি ঋণ খেলাপি হননি। তবে সবকটি ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে খেলাপির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এমনকি এসব ঋণের অনিয়ম নিয়ে একটি ব্যাংকের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এ ছাড়া তিনি উল্লেখ করেছেন বন্ধকীর ক্ষেত্রে একই জমি একাধিক ব্যাংকে ব্যবহৃত হয়নি। প্রকাশিত প্রতিবেদনে জমির দাগ, মৌজা ধরে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে একই জমি বিভিন্ন ব্যাংকে ব্যবহার করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর