মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

সরকার-ব্যাংকগুলোর সহায়তা শিল্পে চাই

-মো. জসিম উদ্দিন

সরকার-ব্যাংকগুলোর সহায়তা শিল্পে চাই

করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতির পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিও গভীর সংকটে পড়েছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক প্রথম সহসভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসে সৃষ্ট অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলা আগামী দিনের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। এই সংকট মোকাবিলায় এখনই সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিতে হবে। কারণ, স্থানীয় পর্যায়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিক্রি নেই। রপ্তানি অর্ডার বাতিল হচ্ছে। শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিতে হবে। ফলে সংকট উত্তরণে শিল্পের পাশে ব্যাংকগুলোকে দাঁড়াতে হবে। লাগবে সরকারের প্রণোদনাও। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন। তার মতে, করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারা বিশ্ব স্থবির হয়ে গেছে। প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছেন। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে শহর থেকে গ্রামে। ব্যবসা- বাণিজ্যে সারা দেশে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। তৈরি পোশাক ও প্লাস্টিক খাতসহ অন্যান্য রপ্তানিমুখী শিল্পের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। প্রতি মুহূর্তে অর্ডার বাতিলের খবর ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে ফেলছে। যদিও সরকার ইতিমধ্যে কিছু ব্যাংকিং সুবিধা প্রণোদনা হিসেবে দিয়েছে। বেসরকারি বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের এই চেয়ারম্যান বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার যে ঘোষণা দিয়েছে, এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। নিরাপত্তার জন্য এমন ঘোষণা জরুরি ছিল। দেশের মানুষ ও অর্থনীতি রক্ষায় আরও শক্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এখন শিল্প-কারখানাও ছুটি দিতে হবে। এখন শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা দিতে হবে। এ জন্য ব্যাংকগুলোকে সহায়তার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। শিল্পের পাশে সরকারকে সহায়তা নিয়ে দাঁড়াতে হবে। সরকারের অব্যাহত সহায়তা না পেলে ব্যবসায়ীরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না।

বাংলাদেশ প্লাষ্টিক দ্রব্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি- বিপিজিএমইএ সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, দেশের স্থানীয় পর্যায়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিক্রি নেই। কিন্তু দেশের মানুষ ভালো থাকলে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবেই।

 

সর্বশেষ খবর