মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

অভাবী মানুষদের খাবার দিতে হবে

-ড. নাজনীন আহমেদ

অভাবী মানুষদের খাবার দিতে হবে

করোনাভাইরাসের প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি চাহিদার সংকটে পড়বে বলে মনে করেন রাষ্ট্রায়ত্ত গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান-বিআইডিএস-এর জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. নাজনীন আহমেদ। তিনি বলেছেন, সারা দেশে অভাবী মানুষদের খাবার দিতে হবে। যেসব মানুষ দিন আনেন, দিন খান, তাদের হাতে খাবার পৌঁছে দিতে হবে। আবার এই খাবার ত্রাণের মতো দেওয়া যাবে না। কী প্রক্রিয়ায় দেওয়া যায়, সে প্রস্তুতি এখনই সরকারকে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এই অর্থনীতিবিদ।

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ১৯৩০ সালের মতোই এবারের অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা করছে সারা বিশ্ব। মানুষ এখন আতঙ্কের মধ্যে থাকবে। এতে সামষ্টিক অর্থনীতিতে চাহিদার সংকট দেখছি। সব কিছুর চাহিদা কমে যাবে। মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে না বের হলে, অর্থনীতির গতি স্লথ হবে। কেউ যদি একটু চটপটি না খান, তা হলে চটপটির দোকানদার আয় করবে কীভাবে? অর্থনীতির এই বিশ্লেষক বলেন, করোনা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে প্রান্তিক পর্যায়ের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারকে তহবিল দিতে হবে। ঝুঁকি মোকাবিলায় ধনীদের ওপর বাড়তি করারোপ বা তাদের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করতে হবে। সরকার যেভাবে ১০০ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করে, আগামী দিনে করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় তেমন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। দেশের বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদ বলেন, করোনাভাইরাসের সৃষ্ট স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ঝুঁকিতে ফেলবে। তৈরি পোশাকশিল্পের ব্যবসায়ীদের কিছু হবে না। তারা না হয় এক বছর দুই কোটি টাকা কম আয় করবেন। কিন্তু ক্ষতি হবে অতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং শ্রমজীবী দিন মজুরদের। এসব নিম্ন আয়ের মানুষের হাতে আয় পৌঁছে দিতে হবে। পাশাপাশি তাদের জন্য ১০০ দিনের কর্মসূচি মে মাসেই চালু করতে হবে। এজন্য জাকাতের অর্থ কেন্দ্রীয়ভাবে সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা গ্রহণ করে দরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দ দেওয়ার উদ্যোগ এখনই নিতে হবে।

সর্বশেষ খবর