মঙ্গলবার, ৭ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মেনে নিতে হবে

মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী

নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মেনে নিতে হবে

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেছেন, রাষ্ট্রপতি ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে যে দাবি জানিয়েছি এতে আমরা অটল আছি। তিনি বলেন, একটি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য করতে হলে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের জনদাবি সরকারকে মেনে নিতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। নির্বাচনের সময় স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখতে হবে। নির্বাচনকালীন প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে রদবদলের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের থাকবে এটা নিশ্চিত করা দরকার। তিনি বলেন, ইভিএমে নয়, বরং স্বচ্ছ ব্যালটে ভোট গ্রহণ করতে হবে। এ রকম আরও কিছু দাবিদাওয়া ও প্রস্তাবনার ওপর আমরা সব সময়ই জোর দিয়ে আসছি। দলের সাংগঠনিক অবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারা দেশে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে রেখে প্রার্থী বাছাইসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি আমাদের চলমান রয়েছে। দেশের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে জমিয়ত মহাসচিব মাওলানা আফেন্দী বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থা বেশ উদ্বেগজনক। দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ জনগণের ত্রাহি অবস্থা। মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষ মাছ-মাংসের কথা চিন্তাও করে না। বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব সর্বত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে। ভোক্তা-জনগণের মতামত ও সক্ষমতার কোনো তোয়াক্কা না করে বারবার বাড়ানো হচ্ছে এসবের দাম। সেই সঙ্গে দুর্নীতি, কালোবাজারি ও মজুদদারির অশুভ প্রবণতা তো আছেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু জনগণের ভোটাধিকার সংরক্ষণ করা মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনা, যেহেতু একটি কল্যাণকর আদর্শ রাষ্ট্র বিনির্মাণে ভোটাধিকারের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি এবং সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা ছাড়া দুর্নীতির মূলোৎপাটন সম্ভব নয়, তাই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশন অবাধ, অর্থবহ, নিরপেক্ষ ও ত্রুটিমুক্ত নির্বাচনের আয়োজন করতে সাংবিধানিকভাবেই দায়বদ্ধ। তিনি বলেন, সব দলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের নারী-পুরুষ ভোটারের অধিকাংশই প্রযুক্তির মাধ্যমে ভোট দিতে অভ্যস্ত নন বিধায় ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালটেই ভোট গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। কেন্দ্র দখল, জাল ভোট দেওয়া, ভোটারকে ভোট কেন্দ্রে আসতে বাধা দেওয়ার বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন এবং এর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

সর্বশেষ খবর