বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, ‘ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে প্রমাণিত হয় তারা বাংলাদেশের ছাত্র গণ-বিপ্লবকে মেনে নিতে পারছে না। তার বক্তব্য শুধু উদ্বেগজনকই নয়, উস্কানিমূলক। বাংলাদেশে এমন কোনো পরিস্থিতি হয় নাই, যেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে হবে। বরং বাংলাদেশে আধিপত্যবাদী শক্তির দোসর শেখ হাসিনার পতন ও পলায়নের পর বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছে। বাংলাদেশ এখন আধিপত্যবাদও স্বৈরাচারমুক্ত হয়ে গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করেছে।’
আজ শনিবার বিকালে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ধুরাইল দাখিল মাদ্রাসা মাঠে ধুরাইল ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ছাত্র গণ বিপ্লবে পতিত স্বৈরাচার গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দিয়ে ভারত সরকার ছাত্র গণবিপ্লবকে অসম্মানিত করেছে বলে বাংলাদেশের মানুষ মনে করে।অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার বিচার না হলে হাজারো শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানি করা হবে। প্রশাসনসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে গণহত্যার সহায়তাকারী আওয়ামী প্রেতাত্মারা এখনও কেন আছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি এ প্রশ্ন রেখে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আওয়ামী প্রেতাত্মা অপসারণে দীর্ঘসূত্রিতা ষড়যন্ত্রকারীদের উৎসাহিত করছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ