পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, সরকারি কেনাকাটায় শতকরা ১০ ভাগ অপচয় রোধ হলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক ৫ ভাগ বেড়ে যাবে। তিনি বলেন, সরকারি কেনাকাটায় দামের সঠিকতা যাচাইয়ের পাশাপাশি পণ্য কতটা টেকসই সে বিষয়টি দেখতে হবে। কেনা পণ্যটি পরিত্যক্ত হওয়ার পরে এর বিক্রয়মূল্য কতো হবে সেই বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে। কেনাকাটার সঠিক পরিমাণ, সঠিক সময় ও সঠিক স্থান- এই তিন বিবেচনায়ই প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবেই সরকারি ক্রয়ে অপচয় রোধ হবে।
রবিবার সকালে রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে তৃতীয় দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, সরকারি ক্রয়ে যে অর্থ ব্যয় হয়, ভুলে গেলে চলবে না তা জনগণের অর্থ। কাজেই এ অর্থ জনগণের উন্নয়নে সঠিকভাবে ব্যবহারে আমাদেরকে আরও দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা দেখাতে হবে। এ জন্যে সরকারি ক্রয়ে ডিজিটালাইজেশনের কোনো বিকল্প নেই।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সব মন্ত্রণালয়েরই ক্রয় কার্যক্রম পেপারলেস হয়ে যাবে। এবারের সপ্তম-পঞ্চ বার্ষিক পরিকল্পনায় গড় জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৪ শতাংশ ধরা হয়েছে। এই প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যাপক সরকারি বিনিয়োগ হবে। একে অর্থবহ করতে হলে পণ্য ক্রয়ে ডিজিটালাইজেশনের কোনো বিকল্প নেই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্টিন রামা, এডিবি'র কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজুকিকো হিগুচি প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/ ০১ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা