গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গাকৃবি) মঙ্গলবার দিনব্যাপী পালিত হয়েছে ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস। এ উপলক্ষে দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা, রক্তদান কর্মসূচি, স্থিরচিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থিত চত্বরকে ‘জুলাই ৩৬ চত্বর’ হিসেবে ঘোষণা করেন গাকৃবির উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান, যাতে এ গণঅভ্যুত্থানের গৌরবময় স্মৃতি চিরস্মরণীয় থাকে।
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় মেডিকেল সেন্টারে রক্তদান ও রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচির মাধ্যমে। এরপর সকালে বের হয় বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালী, যার নেতৃত্ব দেন উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান এবং প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান। এতে গাকৃবির শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
নতুন কৃষি অনুষদের নিচে অনুষ্ঠিত হয় জুলাই '২৪ গণঅভ্যুত্থান স্মরণে স্থিরচিত্র প্রদর্শনী। বেলা সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান এবং সঞ্চালনায় ছিলেন পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শরীফ রায়হান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সফিউল ইসলাম আফ্রাদ।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ছাত্র প্রতিনিধি হাফসা শারমীন, সাজ্জাতুল ইসলাম শাওন, কর্মচারী প্রতিনিধি দুলাল হোসেন, কর্মকর্তা প্রতিনিধি আবু হানিফ পালোয়ান, শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে প্রফেসর ড. মোঃ আবু আশরাফ খান, প্রফেসর ড. মোঃ মসিউল ইসলাম, শিক্ষকবৃন্দের পক্ষ থেকে প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম রসুল, প্রফেসর ড. নাসরীন আক্তার আইভী।
পরে উপাচার্য বলেন, “জুলাই ’২৪ কেবল একটি গণঅভ্যুত্থান নয়, এটি ছিল ন্যায়বোধ, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকারের জয়গান। শহিদদের আত্মত্যাগ যেন বৃথা না যায়, সে ব্যাপারে সকলকে সচেতন থাকতে হবে।”
দিনব্যাপী আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার মধ্য দিয়ে, যেখানে গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরা হয়।
বিডি প্রতিদিন/আশিক