প্রয়াত মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর শূণ্য আসনের (মৌলভীবাজার-৩) উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌঁড়ঝাপ দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। শাসকদল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভের আশায় সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখন ঢাকায় অবস্থান করে নিজ নিজ লবিংয়ে মনোনয়ন নিশ্চিত করতে তৎপর রয়েছেন। গত ২৯ অক্টোবর এ আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
মন্ত্রী মহসিন আলীর মৃত্যুর পর নিজ নিজ সমর্থকদের সাটানো ডিজিটাল পোষ্টারের নিরিখে প্রার্থীর সংখ্যা এক ডজন হলেও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন প্রয়াত মন্ত্রীর স্ত্রী সৈয়দা সায়রা মহসিন, সাবেক এআইজি সৈয়দ বজলুল করিম, সাবেক এমপি ও বর্তমান জেলা পরিষদের প্রশাসক আজিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক নেছার আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন, মৌলভীবাজার কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি আব্দুল মালেক সোয়েব, এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সরাফত আলী, রাজনগর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান বদরুদ্দোজা ভেলাই, আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সুব্রত পুরকাস্থ প্রমুখ।
দলীয় মনোনয়ন লাভের ক্ষেত্রে প্রত্যেকেই আশাবাদী। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়ন লাভের দৌঁড়ে দু'জন প্রার্থী সমান্তরাল অবস্থানে রয়েছেন। তারা হচ্ছেন, সৈয়দা সায়রা মহসিন ও সাবেক এআইজি সৈয়দ বজলুল করিম। মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর মৃত্যুর পর মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের যৌথ বর্ধিত সভায় সৈয়দা সায়রা মহসিনকে উপ-নির্বাচনে একক প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ সমর্থন এবং প্রয়াত মন্ত্রীর প্রতি সমবেদনা সৈয়দা সায়রা মহসিনের জন্য নিয়ামক হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিকল্প প্রার্থী হিসেবে লাইম লাইটে চলে এসেছেন সৈয়দ বজলুল করিম। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণা সেলের কেন্দ্রীয় সদস্য সৈয়দ বজলুল করিমকে চলমান দশম সংসদ নির্বাচন প্রাক্কালে মৌলভীবাজার-২ আসনের দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর হাই কমান্ডের নির্দেশে জাপা প্রার্থীর সমর্থনে তিনি মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছিলেন। এদিক বিবেচনায় সৈয়দা সায়রা মহসিনকে কোনভাবে ম্যানেজ করা হলে বজলুল করিম নিশ্চিত হতে পারেন বলে গুঞ্জণ রয়েছে। অপর একটি সূত্রের মতে, মনোনয়ন মিরাকলের ক্ষেত্রে প্রার্থী হিসাবে আর্বিভূত হতে পারেন সাবেক দুই ছাত্র নেতার মধ্যে একজন।
বিডি-প্রতিদিন/০১ নভেম্বর ২০১৫/এস আহমেদ