বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে বাহিনী প্রধান আকাশ বাবু ও তার বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ডারসহ দুই বনদস্যু নিহত হয়েছেন। উদ্ধার হয়েছে ১৭টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৪৪৪ রাউন্ড গুলিসহ চাঁদা আদায়ের কার্ড ও বিপুল পরিমাণ রশদ সামগ্রী। সোমবার সকালে সুন্দরবন পুর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের তাম্বুলবুনিয়ার খাল এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু আকাশ বাবু বাহিনী প্রধান কাশেম বিল্লাল ওরফে আকাশ বাবু (৪০) ও তার বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ডার ফরিদ শেখ ওরফে মেজ ভাই (৪২) নিহত হয়েছেন। নিহত বনদস্যুদের বাড়ী বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলায় বলে জানা গেছে।
উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৪টি এলজি, ৫টি কাটা বন্দুক, ৬টি একনলা বন্দুক, ২টি এয়ার রাইফেল, ৩৩টি বন্দুকের তাজা কার্তুজ, ১৪৭ রাউন্ড পয়েন্ট ২২ বোর রাইফেলের গুলি, ২৬৪টি এয়ার গানের গুলি, ৩৬টি বন্দুকের ফায়ারকৃত গুলির খোসা, ৭টি দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্র, চাঁদা আদায়ের কার্ড ও বিপুল পরিমাণ রশদ সামগ্রী।
এলিড ফোর্স র্যাপিড এ্যকশন ব্যাটেলিয়ান ( র্যাব-৮) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফরিদুল আলম জানান, সুন্দরবনে বনদস্যু দমনে র্যাবের নিয়মিত টহলদান কালে সোমবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের তাম্বুলবুনিয়ার খাল এলাকায় যায়। এসময়ে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের উপর বনদস্যুরা গুলিবর্ষণ শুরু করে। এসময় র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। বেধে যায় দু’পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ। উভয়ের মধ্যে প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলা বন্দুকযুদ্ধের এক পর্যায়ে গুলি বিনিময় বন্ধ করে বনদস্যুরা পিছু হটে সুন্দরবনের গহীণ অরণ্যে পালিয়ে যায়।
পরে র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে বনদস্যুদের ২টি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে। এসময়ে ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা ১৭টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪৪৪ রাউন্ড বিভিন্ন প্রকার তাজা গুলি ও বনদস্যুদের ছোড়া ৩৩ রাউন্ড বন্দুকের গুলির খোসাসহ চাঁদা আদায়ের কার্ড ও বিপুল পরিমাণ রশদ সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। পরে ওই এলাকায় থাকা জেলে-বনজীবীরা ঘটনাস্থলে এসে লাশ দুটি বনদস্যু আকাশ বাহিনী প্রধান আকাশ বাবু ও ওই বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ডার ফরিদ শেখ ওরফে মেজ ভাইয়ের বলে শনাক্ত করে। দুপুরে নিহত দুই বনদস্যুর লাশ মংলা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র্যাব জানায়। এ ঘটনায় র্যাবের পক্ষ থেকে মংলা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহত বনদস্যুদের বাড়ি বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলায় বলে জানিয়েছে মংলা পুলিশ। তবে পুলিশ নিহতদের বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেনি।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৫/ রশিদা