মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মন্তব্যের প্রতিবাদে তার বাসা ঘেরাও করতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে গুলশান দুই নম্বর মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন মুক্তিযোদ্ধা এং প্রগতিশীল বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে তারা খালেদা জিয়ার শাস্তি এবং মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বক্তব্য বন্ধে আইন করার দাবি জানান। একইসঙ্গে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ‘অবমাননাকর’ বক্তব্যেরও নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা।
মঙ্গলবার পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, গণজাগরণ মঞ্চসহ বিভিন্ন সংগঠন গুলশান ২ নম্বরে অবস্থান নেন। সেখানে তারা খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বর বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানান। এরপর বিক্ষোভকারীরা খালেদা জিয়ার বাড়ির দিকে এগোনোর চেষ্টা করলেও তার কয়েকশো গজ সামনে পুলিশের ব্যারিকেডে আটকা পড়েন। কূটনৈতিক এলাকা হওয়ায় সেখানে সভা, সমাবেশ, মিছিল করার অনুমতি নেই এল পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হলে আবারও গুলশান-২ মোড়ে ফিরে গিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
গুলশান থানার পরির্দশক ফিরোজ করিম গুলশান ২ নম্বরে গণজাগরণ মঞ্চ ও বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবেই ওই কর্মসূচি হয়েছে। অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা সেখানে ঘটেনি।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির শহীদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্যের জন্য খালেদা জিয়াকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করারও দাবি জানান তিনি।
শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কাজী মুকুলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন। দুই এক দিনের মধ্যে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে অবস্থান কর্মসুচি থেকে জানান বক্তারা।
বিডি-প্রতিদিন/২৯ ডিসেম্বর, ২০১৫/মাহবুব