সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আজ বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আঁলা বেরসে। এসময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গী হয়ে সে দেশের কয়েক মন্ত্রীসহ অন্যান্য প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার সকাল ১১টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করেন। সব মিলিয়ে ২০ মিনিট অবস্থান করেন সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট।
স্মৃতিসৌধ কর্তৃপক্ষ জানান, প্রবেশ করে প্রথমে তিনি বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে নাগেশ্বর চাপা নামে একটি ফুলের চারা রোপন করেন ও পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন।
সুইস প্রেসিডেন্ট আঁলা বেরসেকে স্বাগত জানায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম.মোজাম্মেল হক, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সাভার সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসারস কমান্ডিং (জিওসি) মেজর জেনারেল মো. আকবর হোসাইন।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাভারের সংসদ সদস্য ডা.এনামুর রহমান, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান সাফিউর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম, শরীফুল ইসলামসহ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি আঁলা বেরসের আগমন উপলক্ষে আমিনবাজার থেকে সৌধ পর্যন্ত কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়। স্মৃতিসৌধ এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়।
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গতকাল দুপুরে ঢাকা এসেছেন তিনি। এটাই বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের কোনো রাষ্ট্রপতির প্রথম সফর।তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা আর তোপধ্বনির উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করেছে বাংলাদেশ।
আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে যৌথভাবে ঘোষণা করা হবে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ রূপরেখা। এর আগে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করবেন অতিথি প্রেসিডেন্ট।
আগামীকাল তিনি যাবেন কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে। সুইস এয়ারফোর্সের একটি বিশেষ বিমানে গতকাল বেলা ১টা ২৩ মিনিটে বাংলাদেশে পৌঁছেন সুইস প্রেসিডেন্ট। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এর আগে তিনি বিমান থেকে নেমে আসার সময় ২১ বার তোপধ্বনিতে তাকে স্বাগত জানানো হয়।
দুটি শিশু ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় সুইস রাষ্ট্রপ্রধানকে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্টকে সঙ্গে নিয়ে মঞ্চে আসার পর দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল এ সময় গার্ড অব অনার দেয়। পরে প্রেসিডেন্ট বেরসে গার্ড পরিদর্শন করেন এবং উপস্থিত সবার সঙ্গে পরিচিত হন।
বিডি প্রতিদিন/৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/ফারজানা