যক্ষা বাংলাদেশে অন্যতম প্রধান জনস্বাস্থ্য সমস্যা উল্লেখ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রী মো. নাসিম বলেছেন, প্রতিবছর তিন লাখ ষাট হাজারের বেশি লোক যক্ষায় আক্রান্ত হয়। এরমধ্যে শতকরা পঞ্চাশ ভাগ ছড়ানো ফুসফুসের যক্ষা রোগী। তাই প্রতিবছর প্রায় ৬৬ হাজার লোক এ রোগের কারণে মারা যায়।
জাতীয় সংসদেও শীতকালীন অধিবেশনে মহিলা এমপি বেগম লুৎফা তাহেরের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী যক্ষা প্রতিরোধে সরকারের পদক্ষেপ উল্লেখ করে আরো বলেন, নির্দিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য কর্মীর মাধ্যমে যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কার্যকম পরিচালিত হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলাসদর হাসাপতাল, পুলিশ ও মিলিটারি হাসপাতাল, জেলখানা ও কর্মস্থলে বাংলাদেশ সরকার ও সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থার সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
দেশে এইচআইভি আক্রান্ত ৪ হাজার ৭২১ জন:
একই প্রশ্নকর্তার প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৮৯ সালে দেশে প্রথম এইচআইভি সনাক্ত হয়। সরকারি হিসেবে বর্তমানে দেশে মোট এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৭২১। যার মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৭৯৯ জন।
এছাড়া ২০১৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত জীবিত ব্যক্তির সংখ্যা ৩ হাজার ৯২২জন। এসময় ২০৩০ সাল নাগাদ দেশকে এ মারণ ব্যধি এইচআইভি/ এইডস মুক্ত করতে সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ।
বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিকের জন্য আসছে নতুন আইন:
স্বতন্ত্র সদস্য মো. রুস্তুম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ১৯৮২ সালের দ্য মেডিকেল প্রাকটিস এন্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস এন্ড ল্যাবোরেটরিস রেজুললেশন (অধ্যাদেশ) রহিতক্রমে একটি যুগোপযোগী আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ওই নীতিমালা অনুযায়ী গঠিত কমিটির মাধ্যমেই স্বাস্থ্যসেবার সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘লাইসেন্স’ (নিবন্ধন) দেয়া হয়।
সামরিক শাসনামলে জারিকৃত অধ্যাদেশ বলে প্রণীত ৩৬ বছরের পুরানো নীতিমালার আওতায় চলছে দেশের সব বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এসময় মন্ত্রী জানান,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের জন্য গাড়ি কিনছে সরকার।
বিডিপ্রতিদিন/ ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/ ই জাহান