২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৩:০৫

মির্জা ফখরুল কোন দেশের হয়ে যুদ্ধ করেছিলেন?

মোহাম্মদ এ আরাফাত

মির্জা ফখরুল কোন দেশের হয়ে যুদ্ধ করেছিলেন?

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মোহাম্মদ এ আরাফাত

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কোন দেশের হয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন? সেই যুদ্ধে কারা তার সঙ্গী ছিল? ১৯৭১ এবং ২০১৮ সালে তার সেই যুদ্ধ কি একই যুদ্ধ, এবং সেই একই জামায়াত, যুদ্ধাপরাধী এবং রাজাকার কি তার উভয় যুদ্ধের সঙ্গী? 

১৯৭২-৭৫ আমলে আওয়ামী লীগ সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করেছিল এবং জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল। মির্জা ফখরুলের দল যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ করে দিয়ে রাজাকারদের পুনর্বাসন করেছিল বাংলাদেশে। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ ৩৭ বছর পর আওয়ামী লীগ যখন আবারও ২০০৯ সালে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করলো, মির্জা ফখরুলের দল তখন সমস্ত শক্তি দিয়ে এই বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে।

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনেও মির্জা ফখরুলের দল রাজাকার জামায়াতকে তাদের ধানের শীষ প্রতীক দিয়ে নির্বাচনে নিয়ে এসেছে। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে মির্জা ফখরুল কোন যুদ্ধের ডাক দিচ্ছেন? মির্জা ফখরুলের নেতা তারেক রহমানের দৃষ্টিতে জামায়াত-বিএনপি একই মায়ের পেটের দুই ভাই।

মির্জা ফখরুল কি ভেবেছেন নতুন প্রজন্ম কিছুই বোঝে না? তাদের যা কিছু বলে বোকা বানানো যায়? আসলে তিনি নিজেই বোকার স্বর্গে বাস করছেন।

আমরাও মনে করি ২০১৮ এসেও ১৯৭১এর মুক্তিযুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। শেষ হয়নি কারণ মির্জা ফখরুলের দলই এই যুদ্ধ শেষ হয়েও শেষ হতে দেননি। ১৯৭৫ এর পরে মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের বাংলাদেশে পুনর্বাসন করে তারাই এই যুদ্ধকে শেষ হতে দেননি। 

তবে যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে আমরা বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলাম, সেই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই আমরা পূর্ণাঙ্গ বিজয় লাভ করবো। এবং এ যুদ্ধে তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগকেই সমর্থন দেবে। 

নতুন প্রজন্ম ভোট দেবে, অবশ্যই ভোট দেবে এবং বুঝে শুনেই ভোট দেবে। ভোটের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি এবং তার পৃষ্ঠপোষকদের প্রত্যাখ্যান করবে। প্রত্যাখ্যান করবে মির্জা ফখরুলের মতো মিথ্যাবাদী, প্রতারক এবং ভণ্ড রাজনীতিবিদদের। তখনই প্রতিষ্ঠিত হবে সত্যিকার গণতন্ত্র। জয় বাংলা।

বিডি-প্রতিদিন/২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর