হকি লিগে মাত্র ৭ দলের অংশগ্রহণ কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হোসেন ইমাম চৌধুরী শান্টা। কারা এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত এ ব্যাপারে শান্টা কাউকে এককভাবে দায়ী করতে চান না। তিনি বলেন, দোষ কেউ কারো চেয়ে কম করছে না। দেখেন নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে যারা এখন ফেডারেশনের দায়িত্ব পেয়েছেন তারা অনেকেই যোগ্য। আমি বিশ্বাস করি এদের মাধ্যমে হকিতে উন্নয়ন ঘটান সম্ভব। কিন্তু এটাও ঠিক এবারে নির্বাচনে ভুল ত্রুটির কমতি ছিল না। এই অভিমানে এক পক্ষের নির্বাচন বয়কট করাটা বিস্ময়ের কিছু নেই। কিন্তু তাই বলে মাঠে খেলা বর্জন করবে তা কোনোভাবেই মানা যায় না। শান্টা বলেন, ফেডারেশনের বিরোধিতায় আমি অনেক কাজের সমর্থন করি। কিন্তু তার ক্লাবের দলবদল ও হকি মৌসুম বর্জন করাটা মানতে পারছি না। আমি এ কাজের বিশেষ করে তার ক্লাবের লিগে না নামাটা কোনো সচেতন ক্রীড়াবিদ মেনে নেবে না। দেশের হকির অগ্রগতির পেছনে মোহামেডানের যেমন অনেক অবদান আছে তেমনিভাবে মেরিনার্স, ওয়ারী ও বাংলাদেশ স্পোর্টিংকে তুচ্ছ করে দেখার উপায় নেই। এই চার বছর দেশে অনেক স্বনামধন্য খেলোয়াড় সৃষ্টি করেছে। এরা এখন যে পথ বেছে নিয়েছে তাতে হকি বাধাগ্রস্ত হবেই। আগেও হকিতে মতবিরোধ ছিল কিন্তু কোনো দলের মাঠ বর্জনের ঘটনা ঘটেনি। ফেডারেশন ভুল ও তিরস্কার সবই করা যায়। এটা গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু আমি যদি মাঠে না নেমে উন্নয়নের বাধা সৃষ্টি করি তাহলে আমার গ্রহণযোগ্যতা থাকবে কীভাবে? সাত দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়াতে এবারে লিগের কোনো আকর্ষণ থাকবে না। কিন্তু এছাড়া ফেডারেশনের উপায়ও ছিল না। কেননা খেলা মাঠে না নামলে তখন আবার সমালোচনার শেষ থাকত না। শুনেছি লিগ না খেলাতে ফেডারেশন চার দলের বিরুদ্ধে শাস্তি দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। আমার অনুরোধ থাকবে ফেডারেশন যেন এ পথে না হাঁটে। চার দলের সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল না তা উপলব্ধি করে আগামীতে মাঠে ফিরে আসবে এ আশা রাখি। আর এ সুযোগটা ফেডারেশনের দেওয়া উচিত। তা না হলে শাস্তি দিলে হকি আরও বিপর্যয়ের মধ্যে ঝুঁকে পড়বে।