বিতর্ক চলছে এখনো। দ্বি-স্তর ক্রিকেটের প্রস্তাব নিয়ে উত্তাল ক্রিকেটবিশ্ব। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড- প্রস্তাবটি পাসের পক্ষে। অন্যদিকে বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিরোধিতা করবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু বিসিবির সত্যিকারের অবস্থান এখনো পরিষ্কার নয়। দুবাইয়ে আজ আইসিসির সভায় দ্বি-স্তরবিশিষ্ট টেস্ট চালু হবে, না আগের মতোই চলবে ক্রিকেটবিশ্ব সেটা পরিষ্কার হবে। আর সেটা জানতে দেশের ১৬ কোটি ক্রিকেটপ্রেমীকে অপেক্ষায় থাকতে হবে। অবশ্য বিসিবির সাবেক সহ সভাপতি ও আইসিসির সহ সভাপতি পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দুবাই থেকে জানিয়েছেন, প্রস্তাবটি পাস না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
দুবাইয়ে আজ শুরু হচ্ছে দুইদিনব্যাপী আইসিসির সভা। সভায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও ভারপ্রাপ্ত সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। বাংলাদেশের আরও একজন উপস্থিত থাকবেন সভায়। বিসিবির সাবেক সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল। যিনি বর্তমানে আইসিসির সহ সভাপতি। দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের আশা বাংলাদেশের তিন প্রতিনিধি এমন কোনো সিদ্ধান্তের পক্ষে অবস্থান নিবেন না, যা অন্ধকারে ঠেলে দিবে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে। দুবাই থেকে আইসিসির সহ সভাপতি মুস্তফা কামাল বলেন, 'প্রস্তাবটি আগে আইসিসির সভায় আলোচিত হতে হবে। এরপর পাস-ফেলের বিষয় আসবে। আর আমি মনে করি এই সভায় প্রস্তাবটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।'
ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড-'থ্রি বিগ' ইতোমধ্যেই টেস্ট ক্রিকেটকে দ্বি-স্তর করার প্রস্তাব দিয়েছে। শুধু প্রস্তাব দিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি, জানিয়েছে কখনো তাদের অবনমন হবে না। কারণ দেখিয়েছে, আইসিসির যে রেভিনিউ আসে, তার প্রায় পুরোটাই এই তিন দেশের জন্য। তাদের যুক্তি হয়তো সত্য। কিন্তু দ্বি-স্তর ক্রিকেট হলে মূল সমস্যায় পড়বে বাংলাদেশ। কেননা দ্বি-স্তরবিশিষ্ট ক্রিকেটে র্যাঙ্কিংয়ের ৯ ও ১০ নম্বর দলকে খেলতে হবে কন্টিনেন্টাল কাপ। র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের বর্তমান যে অবস্থান, তাতে কন্টিনেন্টাল কাপ খেলতে হবে। এটাই মানতে পারছে না পুরো দেশ। প্রতিবাদে উত্তাল পুরো দেশ মানববন্ধন করছে। পোড়াচ্ছে কুশপুত্তলিকা। ক্রিকেটপ্রেমীদের একটাই দাবি, আগের মতো ধারাবাহিক টেস্ট খেলা। ২৩ জানুয়ারির সভায় বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের অধিকাংশ সদস্যই প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছিলেন। দেশবাসীর আন্দোলনের ফলে এখন অবস্থান পাল্টে বিবৃতি দিয়েছে, দেশের বিপক্ষে যায় এমন অবস্থার বিরোধিতা করবে বাংলাদেশ। সত্যি কী অবস্থান নিবে?
দু'দিনব্যাপী সভার প্রস্তাবটি আগে আলোচিত হবে। তারপর সেটা ভোটাভুটিতে যাবে। তখন পরিষ্কার হবে বিসিবি সভাপতির কাছে কোনটা প্রাধান্য পায়। দেশের ক্রিকেট আগে, না অন্য দেশের মোড়লগিরি।