আইসিসির সভা নিয়ে অযথা কোনো কথা বলবেন না। মিডিয়াকে যা জানানো দরকার তা দেশে ফিরে আমিই বলব। হ্যাঁ, দুবাইতে আইসিসির সভার কি সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে তা নিয়ে দেশবাসীর টেনশনের শেষ নেই। কারণ ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড যেভাবে ক্রিকেটকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাচ্ছে। তাদের এ প্রস্তাব গৃহীত হলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ। কেননা প্রস্তাবের একটি অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে ২০১৫ সাল থেকে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ৯ ও ১০ নম্বর স্থানে থাকা দলকে রেলিগেশন অর্থাৎ কন্টিনেন্টাল কাপ খেলতে হবে। সেই হিসেবে সামনে আট বছর বাংলাদেশ টেস্ট খেলার সুযোগ হারাবে। যদিও তিন দেশের প্রস্তাব গৃহীত হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু ক্রিকেটপ্রেমীদের টেনশন যেন বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই প্রস্তাবের বিপক্ষে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হচ্ছে। আজ থেকে দুবাই আইসিসির সদর দফতরে বহুল আলোচিত সভাটি শুরু হতে যাচ্ছে। দুই দিনব্যাপী এ সভায় বাংলাদেশের বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন প্রস্তাবের পক্ষে না বিপক্ষে থাকবেন সেই প্রশ্নটা সবার মধ্যে দোল খাচ্ছে।
গতকাল মিরপুরে টেস্ট চলাকালে বিসিবি পরিচালকদের দেখা মিললেই সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন কি ঘটতে পারে দুই দিনব্যাপী আইসিসির সভায়। বিশেষ করে বারবার প্রশ্ন করাতে বিব্রতবোধ করছিলেন মিডিয়ার মূল মুখপাত্র জালাল ইউনুস। কেননা মুখ তার বন্ধ। তবে জালাল নয়, বিসিবির এক পরিচালক জানালেন, সরি আমাদের কিছু বলার নেই। সভাপতি সাহেব নির্দেশ দিয়েছেন আইসিসি সভা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে না। যা বলার তিনি দেশে ফিরে এসেই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানাবেন। অর্থাৎ বিসিবির পরিচালকরা মুখে যেন তালা দিয়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, দেশে ফিরে সভাপতি আর কি বলবেন? যদি তিন দেশের প্রস্তাব গৃহীত হয়েই যায় তাহলে তার কিছু বলার থাকবে। পাপন, চিন্তা করে দেখুন যদি বাংলাদেশ আট বছর টেস্ট খেলতে না পারে তাহলে তিনি দেশে ফিরে কিছু বলতে পারবেন কিনা? ক্রীড়াপ্রেমীদের ক্ষোভে ও রাগে তখন শুধু ক্রীড়াঙ্গন নয় পুরো দেশই উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে।