বড় একটা বিপদ থেকে বের হয়ে আসল বাংলাদেশের ক্রিকেট। আইসিসি সভায় ক্রিকেটে দ্বি-স্তরের প্রস্তাব গৃহিত হলে বাংলাদেশ আট বছর টেস্টের বাইরে থাকত। কিন্তু এ বিপদ যে পুরোপুরি কেটে গেছে তা মনে করছেন না বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) এম এ লতিফ খান। লতিফ ক্রিকেটে বেশ কিছুদিন জাতীয় দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন। দেশে যে ক'জন মেধাবী ক্রীড়া সংগঠক রয়েছেন তার মধ্যে তিনি অন্যতম। রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে গেলেও লতিফ সব খেলাধূলার খোঁজ-খবর সার্বক্ষণিক রাখেন। ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের প্রস্তাবনা নিয়ে দু'দিনব্যাপী আইসিসির সভায় যা হয়ে গেল তা নিয়ে আলাপ হয় লতিফের সঙ্গে। তিনি প্রথমেই বিস্ময় প্রকাশ করেন তিন দেশের ভূমিকা নিয়ে। লতিফ বলেন, ক্রিকেটে অবশ্যই আমরা ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের অবদানের কথা স্বীকার করি। কিন্তু তারা যেভাবে বিশ্ব ক্রিকেটকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাচ্ছিল তা মানার নয়। অন্যসব প্রস্তাবের কথা বাদই দিলাম, কিন্তু টেস্টে দ্বি-স্তরের প্রস্তাব দেখে ১৬ কোটি মানুষের সঙ্গে আমিও আঘাত পেয়েছি। কেননা তারা যেটা করতে চাচ্ছিল তা গৃহিত হলে বাংলাদেশ টেস্টই খেলতে পারত না। বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়েকে দুর্বল ভেবেই তারা প্রস্তাবটি তৈরি করে। কিন্তু তারা কি ভুলে গেছে মর্যাদা
লাভের মাত্র চার বছরের মধ্যে টেস্ট নয় সিরিজ জয় করেছে বাংলাদেশ। এ কৃতিত্বতো অনেক দেশেরই নেই। আমি নিশ্চিত এর পেছনে তিন দেশেরই অসৎ উদ্দেশ্য ছিল। তারা দেখছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে তারা পেছনে পড়ে যাবে। ব্যাস্ ষড়যন্ত্র করে টাইগারদের অগ্রযাত্রা রুখতে চেয়েছিল। আল্লাহর অশেষ রহমত দ্বি-স্তরে প্রস্তাবাটি সভাতেই আলোচনা হয়নি। তিন দেশই তা মুলতবি রাখতে বলেছে। এতে করে শঙ্কা কেটেছে তারপরও আমি ভয়ে আছি কখন আবার কিনা হয়ে যায়। কারণ তিনদেশ দেখল এটা সভাতে উঠলে ভোটে পাস হতো না। তাই মুলতবি করেছে। কিন্তু ভেতরে ভেতরে তারা ঠিকই অসৎ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। তাদের একটা ভোট দরকার এখন এ জন্য প্রস্তাবে বিরোধিতা করা বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখাবে। একটা কথা কি ভবিষ্যতে যদি দ্বি-স্তরের প্রস্তাব যদি গৃহিত হয় তাহলে বাংলাদেশ ছাড়া বিরোধিতা করা তিন দেশের কোনো ক্ষতি হবে না। তাই বাংলাদেশের উচিত হবে এদের সঙ্গে সম্পর্কটা আরও গভীর করা। আরেকটা ব্যাপার এ ধরনের বিপদ আসলে বোর্ড সভাপতি যেন ক্রিকেট এঙ্পার্টদের পরামর্শ নেন। কেননা বোর্ডে না থাকলেও বাইরে অনেক মেধাবী ক্রীড়া সংগঠক রয়েছেন। তাদের সঙ্গে আলাপ করলে দেশেরই মঙ্গল হবে। একটা শঙ্কা কেটে গেছে তার মানে এই নয় যে বিপদ একেবারে কেটে গেছে। সুতরাং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে ভালোভাবে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।