২৬ নভেম্বর, ২০২২ ২১:১১

বিশ্বকাপে কাঁপে প্রতিবাদ তরঙ্গ

অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বকাপে কাঁপে প্রতিবাদ তরঙ্গ

১৯৮৬ বিশ্বকাপে হাত দিয়ে গোল দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন মহানায়ক দিয়াগো ম্যারাডোনা। যাকে তিনি নিজেই বলেছিলেন ‘হ্যান্ড অব গড’। সেই নিয়মভাঙা গোলের জন্য কোনোদিন ফুটবল ঈশ্বর আফসোস কিংবা অনুশোচনাও করেননি। বরং ঊঁচু গলায় বলেছেন, তিনি এর জন্য অনুতপ্ত নন। আপনি আশ্চর্য হলেও ম্যারডোনর একটা জোরালো যুক্তি ছিল এর পেছনে।

ম্যারাডোনার দাবি অনিয়ম করে ফকল্যান্ড যুদ্ধ বাঁধানো সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে এটা ছিল তার প্রতিবাদ। তিনি ফকল্যান্ডের প্রতিশোধের মঞ্চ বানিয়েছিলেন বিশ্বকাপের মঞ্চকে। ম্যারাডোনা আজ আর নেই তবে বিশ্বকাপে এখনও প্রতিবাদের তরঙ্গ কাঁপে।

তাই তো ইরানের ফুটবলাররা বিশ্বকাপের মঞ্চে জাতীয় সঙ্গীত না গেয়ে বিশ্বকে দেখান যে, তারা তাদের দেশে চলা সরকারি নিপীড়নের পক্ষে নন।

আবার নির্যাতি ফিলিস্তিনিরাও বড় ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে যান বিশ্বকাপের মঞ্চে। জানান নিজের মুক্তির দাবি। এভাবেই বিনোদন আর বাণিজ্যের বিশ্বকাপ হয়ে ওঠে প্রতিবাদের মহামঞ্চ। ফুটবলার ম্যারাডোনাও কিন্তু কেবল ফুটবলের গণ্ডিতে নিজেকে আটকে রাখেননি। তিনিও ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন ফিলিস্তিনের পতাকা গায়ে জড়িয়ে।

ফিলিস্তিনিরাও তাদের পতাকা ও পতাকার রঙে সজ্জিত পোশাক পরে দোহার স্টেডিয়াম এলাকায় ঘোরাফেরা করছেন ফিলিস্তিনিরা। বিশ্বকাপে ফিলিস্তিনিদের উপস্থিতিকে আরেক ধাপ এগিয়ে দিচ্ছে তিউনিসিয়া। 

উত্তর আফ্রিকার দেশটি কাতার বিশ্বকাপে ‘ডি’ গ্রুপে খেলছে। ২২ নভেম্বর এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ডেনমার্কের বিপক্ষে ম্যাচের সময় গ্যালারিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে ব্যানার ওড়ান তিউনিসিয়ার সমর্থকেরা। ব্যানারে লেখা ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’। আজও আল জানুব স্টেডিয়ামে তিউনিসিয়া-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের সময়ও একই ব্যানার তুলে ধরেন তারা। 

এভাবেই বিশ্বকাপ থেকে বিশ্বকাপে পৌঁছে যায় প্রতিবাদের ঢেউ। নির্যাতিত মানুষ বলেন তার অধিকারে কথা। সেই সুবাদে গোল বলটাও হয়ে ওঠে আরও মানবিক, ফুটবল মিলেমিশে যায় জীবনের সাথে। 


বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর