২৭ মে, ২০১৯ ১৫:৫৯

পোকা-মাকড় খাচ্ছে বনরুইটি, ঈদের পর যাবে শ্রীমঙ্গলে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:

পোকা-মাকড় খাচ্ছে বনরুইটি, ঈদের পর যাবে শ্রীমঙ্গলে
পিঁপড়া, উঁইপোকাসহ নানান ধরনের পোকা-মাকড় ও সিদ্ধ ডিম খাচ্ছে বিলুপ্ত প্রজাতির বনরুইটি। কুড়িগ্রাম থেকে উদ্ধার হওয়ার পর বনরুইটি শনিবার রাতে রাজশাহী পাঠানো হয়। এরপর থেকে রাজশাহী বন্যপ্রাণী ও পরিচর্যা কেন্দ্রেই আছে। বর্তমানে পরিচর্যা কেন্দ্রের ভেতরের প্রাকৃতিক পরিবেশেই তাকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
 
রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, কুড়িগ্রামে বিলুপ্ত প্রজাতির এই বনরুইটি উদ্ধারের পর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপর শনিবার সেখান থেকে রাজশাহী নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে বনরুটি রাজশাহী বন্যপ্রাণী ও পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সেখানকার সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশে সুস্থ্য আছে এবং স্বাভাবিক খাবার খাচ্ছে উদ্ধারকৃত বনরুটি।
 
রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে কখনও কখনও এদের দেখা পাওয়া যায়। তাই বনরুইটিকে সিলেটের শ্রীমঙ্গলেই পাঠানো হবে। তবে এখনই নয়, ঈদের পর। সবকিছু চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হবে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত আসার পরই বনরুইটি শ্রীমঙ্গল পাঠানো হবে।  
 
তিনি আরও বলেন, উদ্ধারকৃত বনরুইটি পুরুষ প্রজাতির। এরা বাংলাদেশের বিলুপ্ত প্রজাতির প্রাণী। পিঁপড়া, উইপোকাসহ বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় খেয়ে এরা বেঁচে থাকে। রাজশাহীতে নেওয়ার পর প্রাণীটিকে এই জাতীয় খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। তাছাড়া বিকল্প খাদ্য হিসেবে সেদ্ধ করা ডিম ও গুঁড়া দুধ দেওয়া হচ্ছে বনরুইটিকে। প্রাণীটি নিয়মিত খাবার খাচ্ছে এবং ঘোরাফেরাও করছে। এক সপ্তাহ তারা প্রাণীটিকে পর্যবেক্ষণ করবেন। 
 
শরীরে আঁশযুক্ত স্তন্যপায়ী এই প্রাণীকে প্রাকৃতিক পরিবেশ ছাড়া বাঁচানো দায়। তাই প্রাণীটিকে চিড়িয়াখানায় দেওয়া হয়নি। বর্তমানে রাজশাহী বন্যপ্রাণী ও পরিচর্যা কেন্দ্রে আছে। সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশে তাকে স্বাচ্ছন্দেই থাকতে দেখা যাচ্ছে। বিলুপ্তি প্রজাতির এই বনরুই থেকে মূল্যবান ওষুধ তৈরি হয় এবং এর চামড়া দিয়ে দামি জিনিস তৈরি হয়। তাই এই প্রাণী পাচারের প্রবণতা বেশি থাকে বলেও উল্লেখ করেন রাজশাহী বিভাগীয় এই বন কর্মকর্তা। 
 
এর আগে গত ২৩ মে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরে পাচারকারীদের হাত থেকে পুলিশ বনরুইটি উদ্ধার করে। পরে ২৫ মে সেখান থেকে নিয়ে গিয়ে রাজশাহী বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।  

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর