নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসে সংক্রামণের হার অন্যান্য সকল জেলার থেকে বেশি এবং রাজধানীর পরের অবস্থানে রয়েছে। এ জেলায় বর্তমানে করোনায় মারা গেছেন ৪৮ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ১০২৪ জন।
শুরুতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাবার আগেই গত ৮ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করে আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। তবে এই লকডাউন এখন আর কোথাও নেই, যদিও শুরু থেকেই লকডাউন তেমন একটা ছিল না। লকডাউনের বিষয়টি অনেকটাই 'কিতাবে আছে, গোয়ালে নেই' ধরনের। বিশেষ করে জেলায় গার্মেন্ট শিল্প খোলার পর পুরো স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জীবনযাত্রা।
রবিবার শহরের চাষাঢ়া, কালিরবাজার, দিগুবাবুর বাজার, ২ নং রেলগেট, নয়ামাটিসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
প্রায় প্রতিটি এলাকায় সকল দোকান খোলা, শহরের বিসিক শিল্প এলাকায় গার্মেন্টসগুলো খোলা, নয়ামাটি এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা, কালিরবাজারের প্রায় সকল দোকান খোলা, দিগুবাবুর বাজার আলাউদ্দিন খান স্টেডিয়াম তথা জিমখানা মাঠে সরিয়ে নিলেও এখানে রয়েছে অনেক দোকান খোলা, আছে ভিড়ও। এদের অধিকাংশের মুখেই নেই মাস্ক কিংবা কেউই মানছেন না সামাজিক দূরত্বও।
ফতুল্লা বিসিকে গিয়ে দেখা যায়, শ্রমিকরা দল বেধে স্বাভাবিকভাবে যাচ্ছে কর্মস্থলে । কোথাও কোন বিধির বালাই নেই। জেলায় যে করোনা ভাইরাসের হটস্পট তা খাতা কলমে লেখা থাকলেও বাস্তবে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপ নিয়েছে লকডাউন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল