শিরোনাম
- মুন্সীগঞ্জ থেকে পাসপোর্ট নিয়ে পরিবারের সঙ্গে ইতালি গেল বিড়াল ‘ক্যান্ডি’
- শহিদুল আলমের মনোনয়নের দাবিতে সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিক্ষোভ সমাবেশ
- চীনের ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে আমন্ত্রণ পেলেন শাবির অধ্যাপক ইফতেখার
- মাদারীপুরে জাহানকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে মিছিল
- ৪৪তম বিসিএসের ফলাফল পুনঃপ্রকাশ
- লজিস্টিক নীতিমালা প্রণয়নে বিনিয়োগ ও রপ্তানিতে আসবে গতি : প্রেস সচিব
- নতুন রূপে ফিরছে ‘প্রিডেটর’, এবার দেখা যাবে বাংলাদেশেও
- যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ১৯৪
- গাকৃবিতে ‘গমের ব্লাস্ট রোগ দ্রুত শনাক্তকরণ কিটের কার্যকারিতা যাচাই’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- প্রতিদ্বন্দ্বীর মায়ের দোয়া নিয়ে গণসংযোগ শুরু করলেন বিএনপি প্রার্থী আনিসুল
- ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৭৪৯ মামলা
- কিউ-এস র্যাংঙ্কিং: এশিয়ার শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিইউবিটি
- এনসিপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু, মূল্য ১০ হাজার টাকা
- স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে অপসোনিনের ছাঁটাই শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি
- মাগুরায় দুস্থ রোগী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে চেক বিতরণ
- অনশনরত তারেকের পাশে রিজভী, বিএনপির সংহতি ঘোষণা
- বগুড়ায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘পুষ্টি ক্যাম্পেইন মেলা’ অনুষ্ঠিত
- জাল নোট প্রতিরোধে বিজিবির নজরদারি জোরদার
- প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষক পুনর্বহালের দাবিতে জবিতে বিক্ষোভ
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৩৪
রাজশাহীর গাছে গাছে অযত্নে বাড়ছে আম
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন
সুমিষ্ট আমের জন্য দেশজুড়ে খ্যাতি রাজশাহীর। এ অঞ্চলের গাছে গাছে এখন শোভা পাচ্ছে থোকায় ঝোলা আম। তবে করোনা সংকটে এবার ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে আমের বাণিজ্য। করোনার কারণে আমের বাণিজ্য যে ভালো হবে না, তা মনে করেই চরম হতাশ এ অঞ্চলের আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা। বাজার পরিস্থিতি নিয়ে এখনই চরম শঙ্কা দেখা দিয়েছে আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
সাধারণ গুটি জাতের (গোপালভোগ) আম বাজারে আসে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে। তবে চলমান করোনা পরিস্থিতির মুখে শেষ পর্যন্ত গাছ থেকে আম নামানো যাবে কি না এনিয়ে শঙ্কা ভর করেছে রাজশাহীর চাষি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে। এমনিতেই এবার আমের মুকুলে পরিচর্যা করতে পারেননি চাষিরা। এনিয়ে ফলন নিয়েও দুরাশা বিরাজ করছে তাদের মনে।
রাজশাহীর আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমের মৌসুমে শুধু আম কেন্দ্রিক বাণিজ্য হয়ে থাকে হাজার কোটি টাকার বেশি। এতে চাঙা হয় রাজশাহী অঞ্চলের অর্থনীতি। মৌসুমের এই সময় থেকে শুরু হয় আমের বাগান কেনাবেচা। তা বদল হতে থাকে কয়েক হাতে। তবে এবার মৌসুমের শুরু থেকে করোনা ভাইরাসের কারণে আমের বাগান কেনাবেচা বন্ধ আছে। বাগান মালিকরা সেভাবে পরিচর্যা করতে পারেননি।
কৃষিবিদরা বলছেন, এবার মুকুলিত হওয়ার পর বৃষ্টির কারণে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। আমের মুকুল ঝরে গেছে। এতে ফলন কিছুটা কম হবে। রাজশাহী জেলায় আম উৎপাদনের উপজেলা চারঘাট, বাঘা, পবা ও পুঠিয়া এলাকায় এবার তুলনামূলক আমের উৎপাদন কম হবে। আম চাষিরা বলছেন, এবার মুকুলের পরিমাণ কম ছিলো। তার ওপর বৃষ্টি ও বিরূপ আবহাওয়ার কারণে মুকুলের ক্ষতি হয়েছে শুরুতেই। এরমধ্যেও যারা গাছের পরিচর্যা করতে পেরেছেন তাদের গাছে ফলন কিছুটা ভালো হবে। গত কয়েক বছর ধরে এমনিতেই দাম না পেয়ে অনেক আমচাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এবার তো করোনার কারণে অনেকে পরিচর্যায় করতে পারেননি। তাই এবার রাজশাহী অঞ্চলে আমের ফলন ৩০ থেকে ৪০ ভাগ কম হতে পারে।
আমচাষিদের ভাষ্য, গত বছর আমে রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা হয়েছিল বলে বাজারে আমের চাহিদা কম ছিলো। এবারও বড় ক্রেতারা আর আগের মতো আমের বাগান কিনছেন না।
জানা গেছে, আমের রাজ্য হিসেবে উত্তরের রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ দেশে প্রসিদ্ধ। এই দুই জেলায় আমের বাগান আছে প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে। এ দুই জেলা মিলে প্রায় ৫ লাখ টন আম উৎপাদন হয়ে থাকে। এবারও সেই পরিমান আম উৎপাদনের লক্ষ্য আছে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যাণতত্ব গবেষণা কেন্দ্রের ফল বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শরফ উদ্দিন বলেন, সবমিলিয়ে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের অবস্থা ভালো আছে। এখনই চাষিরা যদি পরিচর্যা বাড়াতে পারে তাহলে ফলন নিয়ে কোনো সংশয় থাকবে না। তবে করোনা পরিস্থিতি দীর্ঘ মেয়াদী হলে বাজারজাতে সমস্যায় পড়তে হবে। বিশেষ করে পরিবহন চলাচল শুরু হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখ থেকে রক্ষা পাবে। পরিবহন সমস্যা কেটে গেলে এবং বাজারে আম বিক্রি করা গেলে কৃষকরা যে ক্ষতির শঙ্কা করছেন তা অনেকটায় কেটে যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
এই বিভাগের আরও খবর