শিরোনাম
- গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি কঠোর করে ইরানের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস
- বিএনপির বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার হাওয়ায় মিলে গেছে : রিজভী
- গাকৃবিতে গমের ব্লাস্ট রোগ দমনে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ
- নোয়াখালীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ
- নারায়ণগঞ্জে দেশের প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন
- রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
- রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি
- ই-স্পোর্টসকে ‘ক্রীড়া’ হিসেবে ঘোষণা
- বরিশালে পৃথক অভিযানে মাদক ও জালনোটসহ আটক ৪
- সিভাসুতে রাজনৈতিক পদায়ন পাওয়া তিন কর্মকর্তাকে পদাবনতি
- খাগড়াছড়িতে মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের সমাবেশ
- দেশ ও দলের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে: নবীউল্লাহ নবী
- অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পেট্রোল ঢেলে হত্যার চেষ্টায় স্বামী গ্রেফতার
- ১৩ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা
- নেত্রকোনার ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু
- রাজবাড়ীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
- গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
- মুখে ভালো কথা বলে সবার ওপর বোমা মারেন পুতিন, বললেন ট্রাম্প
- সিলেটে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
- পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা
রাজশাহীর গাছে গাছে অযত্নে বাড়ছে আম
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন

সুমিষ্ট আমের জন্য দেশজুড়ে খ্যাতি রাজশাহীর। এ অঞ্চলের গাছে গাছে এখন শোভা পাচ্ছে থোকায় ঝোলা আম। তবে করোনা সংকটে এবার ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে আমের বাণিজ্য। করোনার কারণে আমের বাণিজ্য যে ভালো হবে না, তা মনে করেই চরম হতাশ এ অঞ্চলের আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা। বাজার পরিস্থিতি নিয়ে এখনই চরম শঙ্কা দেখা দিয়েছে আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
সাধারণ গুটি জাতের (গোপালভোগ) আম বাজারে আসে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে। তবে চলমান করোনা পরিস্থিতির মুখে শেষ পর্যন্ত গাছ থেকে আম নামানো যাবে কি না এনিয়ে শঙ্কা ভর করেছে রাজশাহীর চাষি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে। এমনিতেই এবার আমের মুকুলে পরিচর্যা করতে পারেননি চাষিরা। এনিয়ে ফলন নিয়েও দুরাশা বিরাজ করছে তাদের মনে।
রাজশাহীর আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমের মৌসুমে শুধু আম কেন্দ্রিক বাণিজ্য হয়ে থাকে হাজার কোটি টাকার বেশি। এতে চাঙা হয় রাজশাহী অঞ্চলের অর্থনীতি। মৌসুমের এই সময় থেকে শুরু হয় আমের বাগান কেনাবেচা। তা বদল হতে থাকে কয়েক হাতে। তবে এবার মৌসুমের শুরু থেকে করোনা ভাইরাসের কারণে আমের বাগান কেনাবেচা বন্ধ আছে। বাগান মালিকরা সেভাবে পরিচর্যা করতে পারেননি।
কৃষিবিদরা বলছেন, এবার মুকুলিত হওয়ার পর বৃষ্টির কারণে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। আমের মুকুল ঝরে গেছে। এতে ফলন কিছুটা কম হবে। রাজশাহী জেলায় আম উৎপাদনের উপজেলা চারঘাট, বাঘা, পবা ও পুঠিয়া এলাকায় এবার তুলনামূলক আমের উৎপাদন কম হবে। আম চাষিরা বলছেন, এবার মুকুলের পরিমাণ কম ছিলো। তার ওপর বৃষ্টি ও বিরূপ আবহাওয়ার কারণে মুকুলের ক্ষতি হয়েছে শুরুতেই। এরমধ্যেও যারা গাছের পরিচর্যা করতে পেরেছেন তাদের গাছে ফলন কিছুটা ভালো হবে। গত কয়েক বছর ধরে এমনিতেই দাম না পেয়ে অনেক আমচাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এবার তো করোনার কারণে অনেকে পরিচর্যায় করতে পারেননি। তাই এবার রাজশাহী অঞ্চলে আমের ফলন ৩০ থেকে ৪০ ভাগ কম হতে পারে।
আমচাষিদের ভাষ্য, গত বছর আমে রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা হয়েছিল বলে বাজারে আমের চাহিদা কম ছিলো। এবারও বড় ক্রেতারা আর আগের মতো আমের বাগান কিনছেন না।
জানা গেছে, আমের রাজ্য হিসেবে উত্তরের রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ দেশে প্রসিদ্ধ। এই দুই জেলায় আমের বাগান আছে প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে। এ দুই জেলা মিলে প্রায় ৫ লাখ টন আম উৎপাদন হয়ে থাকে। এবারও সেই পরিমান আম উৎপাদনের লক্ষ্য আছে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যাণতত্ব গবেষণা কেন্দ্রের ফল বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শরফ উদ্দিন বলেন, সবমিলিয়ে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের অবস্থা ভালো আছে। এখনই চাষিরা যদি পরিচর্যা বাড়াতে পারে তাহলে ফলন নিয়ে কোনো সংশয় থাকবে না। তবে করোনা পরিস্থিতি দীর্ঘ মেয়াদী হলে বাজারজাতে সমস্যায় পড়তে হবে। বিশেষ করে পরিবহন চলাচল শুরু হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখ থেকে রক্ষা পাবে। পরিবহন সমস্যা কেটে গেলে এবং বাজারে আম বিক্রি করা গেলে কৃষকরা যে ক্ষতির শঙ্কা করছেন তা অনেকটায় কেটে যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
এই বিভাগের আরও খবর