বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১২ জুলাই)
- জাতীয়তাবাদের উদ্বিগ্ন হৃদয়
- রেকর্ড বইয়ের পাতায় ইংল্যান্ডের স্মিথ
- বিএনপির আদর্শ ও রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস-বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই : মির্জা ফখরুল
- রাজধানীর মিরপুর থেকে ৫০টি দেশীয় বন্যপ্রাণী উদ্ধার
- ভিন্নমত থাকবে, কিন্তু অপরের মতকে সম্মান করতে হবে : আমীর খসরু
- ভারতের হয়ে যে রেকর্ড এখন শুধুই বুমরাহর
- বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গোলাগুলির ঘটনায় ১০ নেতা বহিষ্কার
- পদ্মার ভাঙনে জাজিরায় দিশেহারা কয়েক হাজার মানুষ
- আগামী ৭২ ঘণ্টায় ফেনী জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে
- দেশে আসলো নতুন সুপারম্যান, সঙ্গে আছে জ্যাকি চ্যানও
- সাবালেঙ্কাকে হারিয়ে অঘটন, ফাইনালে অ্যানিসিমোভা
- মেয়েকে নিয়ে প্রথমবারের মতো গান গাইলেন ন্যান্সি
- আবারও ইংলিশ ফুটবলে ফিরছেন হেন্ডারসন
- ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় ক্যামেরুন ও মালাবির দু’টি স্থান
- সংবিধানে পরিবেশ অধিকারকে 'মৌলিক অধিকার' করার প্রস্তাব অ্যাটর্নি জেনারেলের
- মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৪
- বেরোবিতে ছাত্রীর আত্মহত্যা, লাশ নিয়ে লাইভ করার চেষ্টায় উত্তেজনা
- ১১ জুলাইকে ‘প্রথম প্রতিরোধ দিবস’ ঘোষণা উপদেষ্টা আসিফের
- বিএনপি দেশে দ্রুত গণতান্ত্রিক উত্তরণ চায় : গয়েশ্বর
রাজশাহী সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে ভলিউম বহি গায়েবের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন

রাজশাহী সদর সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে একটি দলিলের ভলিউম বহি গায়েব হয়ে গেছে। বার বার আদালত তলব করলেও ভলিউম বহিটি পাঠানো হচ্ছে না। বলা হচ্ছে, সেটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর শুধু এই ভলিউম বহির কারণে বছরের পর বছর এক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কৃষকের মামলা শেষ হচ্ছে না।
ভুক্তভোগী এই কৃষকের নাম অনিল কুমার মাহাতো। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মাধবপুর গ্রামে তার বাড়ি। তার বাবা মৃত বিরেন্দ্র মাহাতো মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে চলে যান। রেখে যান বেশ কিছু ধানী জমি। সেসব জমি অনিল কুমার মাহাতো ভোগ দখল করে আসছিলেন। হঠাৎ ২০০৭ সালে এলাকার বেশ কিছু ব্যক্তি দাবি করেন, বিরন্দ্রে মাহাতো ১৯৬৪ সালে এসব জমি তাদের কাছে বিক্রি করে গেছেন। এনিয়ে দেখা দেয় জটিলতা। অনিল কুমার মাহাতো নাচোল সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। ২০১৪ সালে মামলার রায় হয় বিবাদীদের পক্ষেই। অনিল কুমার মাহাতো চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জজ আদালতে আপীল করেন। এরপর আদালত কয়েকদফা ১৩ মে ১৯৬৪ সালের ৮৩৬৯ নম্বর দলিলের ১১১ ভলিউমের ৬৬ থেকে ৬৯ পর্যন্ত পৃষ্ঠা তলব করেন। কিন্তু রাজশাহী সদর সাব- রেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে তা পাঠানো হয়নি।
প্রত্যেকবার সদর সাব-রেজিস্ট্রার চিঠি দিয়ে আদালতকে বলেছেন, তলবী সমন প্রাপ্তির পর থেকে এ পর্যন্ত ভলিউম বহি খুঁজে না পাওয়ায় বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করতে না পারায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। ভলিউম বহিটি অনুসন্ধানে আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পাওয়া মাত্র আদালতে পাঠানো হবে।
কিন্তু ভুক্তভোগী অনিল কুমার মাহাতো বলছেন, তার বিবাদীপক্ষ নকল কবলা দলিল দেখিয়ে তাদের পক্ষে রায় নিয়েছে। আসল দলিলের ভলিউম সংরক্ষিত আছে সদর সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে। বিবাদীরাই সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়কে প্রভাবিত করেছে। যার কারণে ভলিউম বহি পাঠানো হচ্ছে না। এ কারণে তার আপীল মামলা শেষ হচ্ছে না। অনিল বলেন, ভলিউম বহি আদালতে উপস্থাপন করা হলে তিনি মামলায় জিতবেন। সে কারণেই ভলিউম বহি ছাড়া হচ্ছে না। তিনি এর সমাধান প্রত্যাশা করেন।
সদর সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সাব-রেজিস্ট্রার বাদল কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, ‘ভলিউম বহি হারিয়ে যাবে কোথায়? নিশ্চয় আছে। তবে এ বিষয়টি আমি জানি না। আমার আগের সাব-রেজিস্ট্রার তাহলে কোর্টকে এমন জবাব দিয়েছেন। আগামী সোম-মঙ্গলবারের দিকে ভুক্তভোগী কৃষক এলে আমি সেটি খুঁজে দেখার ব্যবস্থা করব।’
এই বিভাগের আরও খবর