বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- একই সঙ্গে কুরআনের হাফেজ হলেন দুই ভাই
- ফ্রান্সে পেশাজীবী সংগঠনগুলোর ধর্মঘট, চাপে ম্যাক্রো
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিক শফিকুর রহমানের স্মরণে শোকসভা
- নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা
- কলাপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজে নবীনবরন অনুষ্ঠিত
- মাদারীপুরের ডাসারে পুকুরে ডুবে দুই ভাই নিহত
- মাদারীপুরে দাফনের দেড় মাস পর ঠিকাদারের মরদেহ উত্তোলন
- রূপগঞ্জে শুরু হলো তিন দিনব্যাপী আইন শিক্ষার্থীদের বুট ক্যাম্প
- ফ্লোরিডায় তিন খুনের দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
- চট্টগ্রামে তিন শতাধিক মানুষ পেল চিকিৎসা ও ওষুধ
- ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড
- দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের
- পিআর পদ্ধতির কথা বলে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে: সুলতান সালাউদ্দিন টুকু
- টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ
- নওগাঁয় ভুয়া ৪ পুলিশ সদস্যসহ গ্রেফতার ৬
- আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আগরতলায় গেল ১,১৯২ কেজি ইলিশ
- তেঁতুলিয়ায় পানিবন্দি ২০ পরিবারের জলাবদ্ধতা নিরসনে বিএনপির উদ্যোগ
- যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- চট্টগ্রামের সড়ক যেন মৃত্যুকূপ, ছয় মাসে নিহত আড়াইশো
রাজশাহী সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে ভলিউম বহি গায়েবের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন

রাজশাহী সদর সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে একটি দলিলের ভলিউম বহি গায়েব হয়ে গেছে। বার বার আদালত তলব করলেও ভলিউম বহিটি পাঠানো হচ্ছে না। বলা হচ্ছে, সেটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর শুধু এই ভলিউম বহির কারণে বছরের পর বছর এক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কৃষকের মামলা শেষ হচ্ছে না।
ভুক্তভোগী এই কৃষকের নাম অনিল কুমার মাহাতো। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মাধবপুর গ্রামে তার বাড়ি। তার বাবা মৃত বিরেন্দ্র মাহাতো মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে চলে যান। রেখে যান বেশ কিছু ধানী জমি। সেসব জমি অনিল কুমার মাহাতো ভোগ দখল করে আসছিলেন। হঠাৎ ২০০৭ সালে এলাকার বেশ কিছু ব্যক্তি দাবি করেন, বিরন্দ্রে মাহাতো ১৯৬৪ সালে এসব জমি তাদের কাছে বিক্রি করে গেছেন। এনিয়ে দেখা দেয় জটিলতা। অনিল কুমার মাহাতো নাচোল সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। ২০১৪ সালে মামলার রায় হয় বিবাদীদের পক্ষেই। অনিল কুমার মাহাতো চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জজ আদালতে আপীল করেন। এরপর আদালত কয়েকদফা ১৩ মে ১৯৬৪ সালের ৮৩৬৯ নম্বর দলিলের ১১১ ভলিউমের ৬৬ থেকে ৬৯ পর্যন্ত পৃষ্ঠা তলব করেন। কিন্তু রাজশাহী সদর সাব- রেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে তা পাঠানো হয়নি।
প্রত্যেকবার সদর সাব-রেজিস্ট্রার চিঠি দিয়ে আদালতকে বলেছেন, তলবী সমন প্রাপ্তির পর থেকে এ পর্যন্ত ভলিউম বহি খুঁজে না পাওয়ায় বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করতে না পারায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। ভলিউম বহিটি অনুসন্ধানে আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পাওয়া মাত্র আদালতে পাঠানো হবে।
কিন্তু ভুক্তভোগী অনিল কুমার মাহাতো বলছেন, তার বিবাদীপক্ষ নকল কবলা দলিল দেখিয়ে তাদের পক্ষে রায় নিয়েছে। আসল দলিলের ভলিউম সংরক্ষিত আছে সদর সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে। বিবাদীরাই সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়কে প্রভাবিত করেছে। যার কারণে ভলিউম বহি পাঠানো হচ্ছে না। এ কারণে তার আপীল মামলা শেষ হচ্ছে না। অনিল বলেন, ভলিউম বহি আদালতে উপস্থাপন করা হলে তিনি মামলায় জিতবেন। সে কারণেই ভলিউম বহি ছাড়া হচ্ছে না। তিনি এর সমাধান প্রত্যাশা করেন।
সদর সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সাব-রেজিস্ট্রার বাদল কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, ‘ভলিউম বহি হারিয়ে যাবে কোথায়? নিশ্চয় আছে। তবে এ বিষয়টি আমি জানি না। আমার আগের সাব-রেজিস্ট্রার তাহলে কোর্টকে এমন জবাব দিয়েছেন। আগামী সোম-মঙ্গলবারের দিকে ভুক্তভোগী কৃষক এলে আমি সেটি খুঁজে দেখার ব্যবস্থা করব।’
এই বিভাগের আরও খবর