বরিশাল সিটি করপোরশেনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিকেন্দ্রিকরণ করা হয়েছে। আগে শুধুমাত্র নগর ভবন থেকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের সুযোগ থাকলেও আগামী ১ জানুয়ারি থেকে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের সব কাউন্সিলর কার্যালয়ে অনলাইনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করতে পারবেন নাগরিকরা। এতে জনগণ হয়রানি ও ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের।
তবে নতুন পদ্ধতি প্রবর্তনের আগে আগামীকাল ২১ ডিসেম্বর থেকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১১ দিন জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। সাময়িক এই অসুবিধা মেনে নিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র।
আগে জন্ম এবং মৃত্যু নিবন্ধন হতো সিটি করপোরেশনের এনেক্স ভবনের একটি মাত্র দপ্তরে। প্রতিদিন শতাধিক মানুষের ভীরে হিমশিম খেত ওই দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে ভোগান্তি এবং হয়রানি হতো জনগণের। এই ভোগান্তি লাগবে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ৩০টি ওয়ার্ডের সব ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে অনলাইনে জন্ম এবং মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করবে সিটি কপোরেশন। সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর তার নিজ ওয়ার্ডে এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলররা দায়িত্বপ্রাপ্ত ৩টি ওয়ার্ডের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করতে পারবেন। এই কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আজ মঙ্গলবার থেকে এনেক্স ভবনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম গ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ কারণে আগামী ১১ দিন বরিশাল নগরীতে বন্ধ থাকবে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম। তবে যারা ইতিমধ্যে নিবন্ধনের আবেদন করেছেন তাদের নিবন্ধনপত্র স্ব-স্ব ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
জনগণের সুবিধার জন্য সব ওয়ার্ডে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বলে বিকেলে নগরীর বরিশাল ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানান সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। এই কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সাময়িক অসুবিধা মেনে নেয়ার জন্য সকলের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
বন্ধ থাকার কারণ হিসেবে মেয়র বলেন, নিবন্ধনের ফি এবং যাবতীয় তথ্য সরাসরি অনলাইনে মন্ত্রণালয়ে জমা হয়। যারা ইতিমধ্যে আবেদন করেছেন তাদের প্রদেয় অর্থের হিসাব এবং তথ্য মন্ত্রাণালয়ে পাঠানোর পর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে নতুন হিসাব শুরু হবে। এ কারণে এই কার্যক্রম কয়েকদিন বন্ধ রাখতে হবে। জনভোগান্তি রোধে সব ওয়ার্ডে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম নজরদারী করার কথা বলেন মেয়র।
এদিকে, এই কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনবল সৃষ্টি করা হয়েছে এবং সব ওয়ার্ড কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা আছে বলে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মঞ্জুরুল ইমাম শুভ্র। ইতিমধ্যে নিবন্ধন কিংবা সংশোধনের জন্য যারা আবেদন করেছেন তাদের নিবন্ধনপত্র স্ব-স্ব ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে পাঠিয়ে ফোনে জানিয়ে দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর, ৩ প্যানেল মেয়র যথাক্রমে গাজী নাইমুল হোসেন লিটু, রফিকুল ইসলাম খোকন ও আয়শা তৌহিদা লুনা ও বিসিসি’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমতিয়াজ মাহমুদ জুয়েল সহ বেশীরভাগ ওয়ার্ড কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত