ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে রাজধানীর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এয়ারপোর্ট গোলচত্বর আউটগোয়িং-এ (ময়মনসিংহমুখী) বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের নির্মাণাধীন বহুল প্রতীক্ষিত উড়াল সেতুটি খুলে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বলাকা ভবন হয়ে সিভিল এভিয়েশন নতুন ভবনের সামনে পর্যন্ত উড়াল সেতু গাড়ি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. ইসহাক।
বিআরটি প্রকল্পের এই ফ্লাইওভার খুলে দেওয়ায় যানজটমুক্তভাবে রাজধানী ছেড়ে নির্বিঘ্নে বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছে পরিবহনগুলো। আজ বিমানবন্দরের সামনের চিরচেনা যানজট আর দেখা যায়নি। ছোট গাড়িগুলো নতুন ফ্লাইওভারে পারাপার হওয়ায় ফুটওভার ব্রিজের নিচে যাত্রীবাহী গাড়ির জটলা আর নেই। ময়মনসিংহমুখী যানবাহনগুলো কোনো বাধা ছাড়াই নির্বিঘ্নে চলে যেতে পারছে।সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইসহাক বলেন, সাময়িকভাবে বাস, ট্রাক, লং ভেহিকলের জন্য উড়াল সেতু ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বাস, ট্রাক, লং ভেহিকল বাদে অন্যান্য সব গাড়ি উড়াল সেতুটি ব্যবহার করে পারাপার হতে পারবে। এতে এয়ারপোর্ট এলাকাকেন্দ্রিক যানজট লাঘব হবে।
মূলত, ঈদে বাড়ি ফেরার যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতেই এই চেষ্টা। প্রতিদিনই এয়ারপোর্টের সামনের অংশে যানজট লেগেই থাকে। উড়াল সেতুটি খুলে দেওয়ায় এই এলাকায় যানজট কম হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এয়ারপোর্ট উড়াল সেতুর সামনেই কথা হয় মোটরসাইকেল চালক সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, বলাকার সামনে থেকে এয়ারপোর্ট ছাপড়া মসজিদ এই আধা কিলোমিটার জায়গা পার হতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এখন প্রাইভেট কারগুলো উড়াল সেতু দিয়ে ওপরে ওঠে যাচ্ছে। আমিও উঠে গেলাম। মাত্র কয়েক মিনিটে ছাপড়া মসজিদের কাছে চলে এসেছি।
প্রাইভেটকার চালক আমজাদ আলী জানান, এয়ারপোর্টের সামনের সড়কে বেশ কিছু কাউন্টার রয়েছে। ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীদের চাপ রয়েছে। সড়কে মানুষ হাঁটতে পারে না সেখানে গাড়ি নিয়ে যাওয়া অনেক কষ্টের। সেতুটি চালু হওয়াতে আমাদের অনেক লাভ হয়েছে। সরাসরি ওপর দিয়ে চলে আসা যাবে। যানজটে পড়ে থাকতে হবে না।
উত্তরা ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কামরুজ্জামান বলেন, উড়াল সেতুটির নির্মাণ কাজ সঠিক সময়ে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ট্রাফিক উত্তরা বিভাগ সার্বক্ষণিক বিআরটি র্কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করেছে এবং কাজের তদারকি অব্যাহত রেখেছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত