আজ সোমবার খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে দক্ষিণের এই দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে টানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত। উভয় সিটিতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
ঢাকা থেকে ৩ হাজার ৪৫৪টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া দুই সিটিতে ইসির ৪১ জন নিজস্ব কর্মকর্তা পর্যবেক্ষণে মাঠে রয়েছেন। তারা ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে ইসিকে অবহিত করবেন।
নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলেছেন, সিটি নির্বাচনে ইভিএমে ভোট গ্রহণে ইসির মূল পরীক্ষা হচ্ছে ‘গোপন বুথের ডাকাত’ ঠেকানো। সদ্য সমাপ্ত গাজীপুর সিটি ভোটেও গোপন বুথে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছিল এজেন্টদের বিরুদ্ধে। এছাড়া সিসি ক্যামেরায় ভোট দেওয়ার ‘গোপন বুথে ডাকাত দেখে’ গত বছরের অক্টোবরে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধ করেছিল নির্বাচন কমিশন। এ ক্ষেত্রে দুই সিটি ভোটে গোপন বুথে ডাকাত থাকা তথা গোপন বুথে ঢুকে একজনের ভোট আরেকজন দিয়ে দেওয়ার শঙ্কার কথা জানিয়েছেন প্রার্থীরা। যদিও সম্প্রতি সিলেটে গিয়ে সিইসি বলেছেন, কেউ কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগ পাবে না। কেউ যদি কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে না পারেন, তাহলে চিৎকার দেবেন। আমরা সিসি ক্যামেরায় তা দেখে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেব।
বিডি প্রতিদিন/কালাম