ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন পেয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এস সরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টু। মামলা দায়েরের পূর্ব থেকে পলাতক বিএনপি নেতা সান্টু সোমবার বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থণা করেন।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম ফারুক তার জামিন মঞ্জুর করেছেন বলে বেঞ্চ সহকারী নাজমুল হাসান জানিয়েছেন। এছাড়াও আসামি সান্টু মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানির দিন ধার্য্য করা হয়েছে বলে বেঞ্চ সহকারি জানান।
এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-২ আসনের ২০ দলীয় ঐক্যজোটের প্রার্থী ছিলেন। এছাড়াও তিনি বরিশালের উজিরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক।বিএনপি নেতার আইনজীবী হাফিজউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, যে ধারায় মামলা করা হয়েছে। সেই ধারা জামিনযোগ্য। তাই বিচারক তাকে জামিন দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, মামলার বাদী দেখেওনি কিংবা তার কথা শুনেনি। শোনা কথার ভিত্তিতে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে মামলা করা হয়েছে। তাই মামলা থেকে বিএনপি নেতা সান্টু অব্যাহতি চেয়েছেন। অব্যাহতির আবেদনের শুনানি আগামী ১ অক্টোবর হবে।
মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী জানান, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর উজিরপুর মডেল থানায় মামলা করে উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আতাহার আলী খান। মামলায় একমাত্র সান্টুকে আসামি করা হয়। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মোবাইল ফোনালাপের মাধ্যমে আক্রমনাত্মক তথ্য উপাত্ত প্রেরণ করে আইনশৃংখলার অবনতি ঘটানোর উপক্রম করাসহ সহায়তার অভিযোগ আনা হয়। উজিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলালউদ্দিন মামলায় আনা অভিযোগ তদন্ত করে বিএনপি নেতা এস সরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টুকে অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালের ১৫ মে আদালতে চার্জশীট জমা দেয়।
বেঞ্চ সহকারী নাজমুল হাসান বলেন, বর্তমানে মামলা চার্জগঠনের পর্যায়ে ছিলো।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল