শিরোনাম
বুধবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ওরা ডিবি পরিচয়ে ছিনতাই করত

৪০ শতাংশ দিত সোর্সকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি করে আসছিল ওরা। সদস্যদেরও ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল আসল ডিবি পুলিশের একটি টিমের মতোই দায়িত্ব। একজন সহকারী কমিশনারের (এসি) নেতৃত্বে দুজন পরিদর্শক, দুজন উপপরিদর্শক এবং কনস্টেবল। পুরোপুরি ডিবির আদলেই সোর্স রয়েছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়। প্রত্যেকটি সফল অপারেশনের ৪০ শতাংশ ভাগ দেওয়া হয় সোর্সকে। এমনই একটি ভুয়া ডিবি চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেফতার করেছে ওই চক্রের ভুয়া এসি, দুই পরিদর্শক, দুই এসআইসহ মোট ৮ সদস্যকে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন— এ কে এম রানা (৩৮), দেলোয়ার হোসনে (৫০), সোহাগ খন্দকার (৩১), জাভেদ আহমেদ বাবু (৩৭), বুলবুল আহমেদ (৩২), নাজমুল হোসেন (২৪), আসাদুজ্জামান (৩৫) ও হারুন ওরফে হিরা (৩২)। গতকাল সকালে পিবিআই সদর দফতরে সংস্থার প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের কাছে চারটি মোটরসাইকেল, তিনটি ওযারলেস সেট, এক জোড়া হাতকড়া, দুটি খেলনা পিস্তল, একটি চাপাতি ও একটি চাকু পাওয়া গেছে।

পরে ভুক্তভোগী মোস্তাফিজুর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, গত ২৫ অক্টোবর বিকালে তিনি পল্টনে সুপ্রভাত বাসে করে খিলক্ষেতের বাসায় যাচ্ছিলাম। নর্দা এলাকায় আসার পর ডিবি পুলিশের জ্যাকেটধারী কয়েকজন আমাদের ‘তোরা ইয়াবা খাস’ বলে মারধর করে গাড়ি থেকে নামায়। আমার বন্ধুকে মারধর করে তার মোবাইল ফোন ও কয়েক হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। আমাকে একটি মোটরসাইকেলের পেছনে বসিয়ে তেজগাঁও বিএসটিআইর কাছে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়। গলায় ছুরি ধরে। আমার ব্যাগে ১৩ লাখ টাকা ছিল। ওই ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে চাইলে আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে মোটরসাইকেলে করে দুর্বৃত্তরা ব্যাগ রেখেই পালিয়ে যায়।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মোস্তাফিজুরের করা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে চক্রটির খোঁজ পাওয়া যায় বলে জানান বনজ কুমার। তিনি বলেন, চক্রটিতে ১১ জন সদস্য আছে, যার আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা হচ্ছে। গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে এরকম আরও সাতটি দল রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে তাদের সোর্স আছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর