সোমবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ধানের শীষ পেতে লড়াই

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

ধানের শীষ পেতে লড়াই

সিলেটে সংসদীয় আসন রয়েছে ছয়টি। এসব আসনের প্রতিটিতে দুই বা ততোধিক প্রার্থীকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। মনোনয়নপ্রাপ্তদের মধ্যে বাছাইয়ে একজন ছাড়া বাকি সবার মনোনয়নপত্র বৈধ বলে গৃহীত হয়েছে। এসব প্রার্থীর মধ্যে এখন শুরু হয়েছে দল বা জোটের চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়ার লড়াই। এ ছয় আসনে বিএনপি জোট থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করতে মনোনয়ন পেয়েছেন ১৭ নেতা। এর মধ্যে বিএনপির ১৪ জন, জামায়াতের দুজন এবং ইসলামী ঐক্যজোটের একজন। ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়নপ্রাপ্ত এই ১৭ নেতার মধ্যে সিলেট-৩ আসনে যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরীর মনোনয়নপত্র কাল বাতিল বলে ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। ধানের শীষ প্রতীকের বাকি ১৬ নেতার মধ্যে রয়েছেন সিলেট-১ আসনে ইনাম আহমদ চৌধুরী ও খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, সিলেট-২ আসনে তাহসিনা রুশদীর লুনা ও আবরার ইলিয়াস অর্ণব, সিলেট-৩ আসনে এম এ হক, শফি আহমদ চৌধুরী ও ব্যারিস্টার এম এ সালাম, সিলেট-৪ আসনে দিলদার হোসেন সেলিম ও সামছুজ্জামান জামান, সিলেট-৫ আসনে মামুনুর রশীদ মামুন, শরীফ আহমদ লস্কর ও মাওলানা ফরিদ উদ্দিন (জামায়াত) এবং সিলেট-৬ আসনে ফয়সল আহমদ চৌধুরী, হেলাল খান, মাওলানা আবদুর রকিব (ইসলামী ঐক্যজোট) ও মাওলানা হাবিবুর রহমান (জামায়াত)। এসব নেতার মধ্যে এখন চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়ার লড়াই শুরু হয়েছে। সিলেটের এই নেতারা চূড়ান্ত তালিকায় নাম লেখাতে মরিয়া। তারা দল ও জোটের শীর্ষ নেতাদের কাছে লবিংও করছেন বলে জানা গেছে।

ধানের শীষ কার, মা না ছেলের : উৎকণ্ঠা ছিল মনোনয়নপত্র বাতিল নিয়ে। তাই সিলেটের প্রতিটি আসনে দেওয়া হয়েছিল ২০-দলীয় জোটের একাধিক প্রার্থী। বাদ যায়নি আলোচিত সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনও। বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ‘নিখোঁজ’ এম ইলিয়াস আলীর এ আসনেও এবার দেওয়া হয়েছিল দুজনকে দলীয় মনোনয়ন। তবে এই মনোনয়ন ছিল ইলিয়াস পরিবারেই সীমাবদ্ধ। স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা ও ছেলে ব্যারিস্টার আবরার ইলিয়াস অর্ণবের হাতেই তুলে দেওয়া হয় দলীয় মনোনয়ন। কোনো কারণে একজনের মনোনয়ন বাতিল হলে যাতে অন্যজন নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন মূলত এই কৌশল থেকেই তাদের দেওয়া হয়েছিল মনোনয়ন।  কিন্তু শঙ্কা কাটিয়ে গতকাল জেলা রিটার্নিং অফিসার এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বিএনপির প্রার্থী হিসেবে তাহসিনা রুশদীর লুনা ও আবরার ইলিয়াস অর্ণব দুজনেরই প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছেন। তাই এখন প্রশ্ন উঠেছে, চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ইলিয়াসের এই আসনে কে হচ্ছেন ধানের শীষের কাণ্ডারি। শেষ পর্যন্ত মা, না ছেলে—কে হাল ধরবেন এ আসনের? তবে জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামীম মনে করেন, এ আসন থেকে ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনাই নির্বাচন করবেন। কারণ ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তিনি এ আসনে বিএনপির রাজনীতি দেখভাল করছেন। খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা লুনা দলীয় কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নিয়ে এরই মধ্যে নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে নিজের জনপ্রিয়তা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর