বৃহস্পতিবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

মেয়র হয়ে সুন্দর সচল আধুনিক ঢাকা গড়তে চাই : আতিকুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উপনির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হলে সুন্দর, আধুনিক ও সচল নগরী গড়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, সবার সহযোগিতা পেলে অল্প সময়ে অনেক বেশি কাজ করতে পারবেন। প্রয়াত আনিসুল হকের অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন করবেন। গুরুত্ব দেবেন অবকাঠামো নির্মাণ, গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরানো, যানজট কমিয়ে আনা, হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে টেকসই উচ্ছেদ, খেলার মাঠ ও পার্ক তৈরি করাসহ নাগরিক সুবিধা বাড়ানোর কার্যক্রমে। তিনি এসব কাজে নগরবাসীর সহযোগিতাও কামনা করেন। আতিকুল ইসলাম গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাব সংলাপ-১ এর ‘কেন মেয়র হতে চাই’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। অনুষ্ঠানে আতিকুল ইসলাম বলেন, আনিসুল হকের (ঢাকা উত্তর সিটির প্রয়াত মেয়র) জায়গায় তার আরেক ভাই (আতিকুল ইসলাম) এলে আনিস ভাইয়ের অসমাপ্ত কাজ করা হবে। তিনি বলেন, তার রেখে যাওয়া কাজের পরিকল্পনা ও প্রকল্পের তালিকা আমি সংগ্রহ করেছি। আমি নির্বাচিত হলে তা বাস্তবায়ন করব। আতিকুল নিজের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন।

প্রথম আলোর যুগ্ম-সম্পাদক সোহরাব হাসানের প্রশ্নের জবাবে আতিকুল ইসলাম বলেন, তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন পছন্দ করেন। বিজিএমইএতে নির্বাচন করে ১৩ বার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। জয়ী হলে সিটি করপোরেশনের কাজে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করবেন। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে জবাবদিহিতার বিকল্প নেই। ৫৪টি সেবা সংস্থাকে একই ছাতার নিচে এনে কাজের সমন্বয় করাও আমার জন্য চ্যালেঞ্জ। সমকালের সহযোগী সম্পাদক অজয় দাশগুপ্ত বলেন, দেশে অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে। ধনী-গরিব বৈষম্য বাড়ছে। মেয়র নির্বাচিত হলে এ বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেবেন? জবাবে আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় জনবসতি শুরুর পর অবকাঠামো হচ্ছে। ফলত এটি একটি অপরিকল্পিত শহর হয়ে গেছে। এক প্রকার অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর গণপরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে মেয়র প্রার্থীর পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসির সম্পাদক প্রণব সাহা। আতিকুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঢাকার রুট ফ্রাঞ্চাইজির দায়িত্ব দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রকে দিয়েছেন। আমি তার সঙ্গে আলাপ করব।

এটিএন বাংলার প্রধান নির্বাহী সম্পাদক জ ই মামুনের এক প্রশ্নের জবাবে আতিকুল ইসলাম বলেন, নতুন মেয়রের মেয়াদকাল এক বছরের বেশি। তবে কম সময়ে বেশি কাজ করা যায়। মশা নিয়ন্ত্রণ করতে বিকল্প পদ্ধতির প্রয়োগ করে সুফল পাওয়া যায়। নির্বাচনের খরচ কোথা থেকে আসবে- চ্যানেল ২৪ এর হেড অব নিউজ রাহুল রাহার এক প্রশ্নের জবাবে আতিকুল ইসলাম বলেন, আমার আয়ের সব টাকা গার্মেন্ট খাতে বিনিয়োগ করি। আর আমার সব খরচ আমার কোম্পানি বহন করে। নির্বাচনের সব ব্যয় আমার কোম্পানি থেকে আসবে। বেসরকারি টেলিভিশন ইন্ডিপেনডেন্টের বার্তাপ্রধান খালেদ মুহিউদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে আতিকুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মনোনয়ন পেয়েছেন। সভাপতির ভাষণে জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, নির্বাচনে যিনিই মেয়র হবেন তার সামনে অনেক কঠিন কাজ ও চ্যালেঞ্জ। আতিকুল ইসলাম অনেক আগ্রহ নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি জয়ী হলে তাকে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। নগরীর সমস্যা তুলে ধরে বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর ফারুক ও সহ-সভাপতি আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ। অসুস্থ থাকায় প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন উপস্থিত ছিলেন না। তাই, স্বাগত ভাষণ দেন প্রেস ক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক ও সমকালের নগর সম্পাদক শাহেদ চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মাইনুল আলম, সদস্য শাহানাজ বেগম, কল্যাণ সাহা প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর