শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

ময়লা-আবর্জনায় বন্ধ ড্রেন মশায় অতিষ্ঠ খুলনাবাসী

নিজস্ব প্রতিনিধি, খুলনা

ময়লা-আবর্জনায় বন্ধ ড্রেন মশায় অতিষ্ঠ খুলনাবাসী

খুলনায় মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন নগরবাসী। দিনে-রাতে সব সময় সবাইকে মশার কামড় সহ্য করতে হচ্ছে। ঘরোয়াভাবে মশা তাড়ানোর কোনো ফর্মুলাই কাজে আসছে না। মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে গতকাল নগরীতে মানববন্ধন করেছে সামাজিক সংগঠন জন-উদ্যোগ। নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা বলেন, মশা নিধনে সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) কোনো কার্যক্রম না থাকায় মশার উৎপাত বেড়েই চলেছে। তারা দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। নগরীর বসুপাড়া এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম জানান, এতো মশা নগরে কখনো দেখেননি। মশার উৎপাত এতোটা বেশি যে, দরজা-জানালা খুলে রাখার উপায় নেই। তিনি বলেন, মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। আগে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মশার ওষুধ ছিটানো হতো, কিন্তু কয়েক মাস ধরে তা বন্ধ আছে। নগরীর ইকবাল নগর মসজিদ রোড, নিরালা আবাসিক এলাকা, মৌলভীপাড়া, রায়পাড়া, মিস্ত্রিপাড়া ও হরিণটানা এলাকার বাসিন্দারাও একই কথা বলেছেন। তারা বলেন, দিন কিংবা রাত কখনই মশার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছি না। অ্যারোসল, ইলেকট্রিক ব্যাট, কয়েলে কাজ হচ্ছে না। দুপুরের পর                 থেকে ঘরে মশার কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে। তাতেও ঠিকমতো মশা যায় না। খুলনা সিটি করপোরেশনের কনজারভেন্সি অফিসার আনিসুর রহমান বলেন, এখন মৌসুম পরিবর্তন হচ্ছে বলে একটু মশা বাড়ছে। মশা নিধনের জন্য লারবি সাইড, এডালটি সাইড আর লাইট ডিজেল অয়েল বা কালো তেল  দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, অসচেতনতার কারণে নগরীর ড্রেনগুলো ময়লা-আবর্জনায় বন্ধ হয়ে থাকে। আবদ্ধ পানিতে সেখানে মশা জন্মাচ্ছে। খুলনা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মো. আলী আকবার টিপু বলেন, কয়েকমাসে ডিজেল সংকটের কারণে মশা নিধন কার্যক্রমে কিছুটা ঘাটতি ছিল। তবে কনজারভেন্সি শাখার সমন্বয়ে জরুরি বৈঠকে মশা নিধনে ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’ হাতে নেওয়া হয়েছে। আলাদাভাবে প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫-৬টি ফগার মেশিনের সাহায্যে মশা নিধনের ওষুধ ছিটানো হবে। এছাড়া পানি নিষ্কাশনের ড্রেনগুলো পরিষ্কার, মশার আবাসস্থল ধংসের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর