রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা
কোরবানির পশুর হাট

সিলেটে আকর্ষণ ‘সম্রাট’

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেট নগরে পশু কেনাবেচার একমাত্র স্থায়ী হাট কাজির বাজার। প্রতি বছর কোরবানির সময় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এ হাটে ব্যবসায়ীরা নিয়ে আসেন বিশাল আকারের গরু। এবার সবচেয়ে বড় গরুটি নিয়ে এসেছেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লাউয়াইর শৌখিন খামারি শান্ত। শুক্রবার তিনি গরুটির দাম ১৬ লাখ টাকা চাইলেও গতকাল হাঁকেন ২৬ লাখ টাকা। এক দিনে তিনি গরুর দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ১০ লাখ টাকা। বিক্রেতা গরুটির নাম দিয়েছেন ‘সম্রাট’। গতকাল বিকাল নির্মাণসামগ্রী রাখায় এখন গুরুত্বপূর্ণ ওই এলাকায় প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি হয়। ছড়া-খাল উদ্ধার ও সংস্কার কাজও বর্ষার আগে শেষ করতে পারেনি সিটি করপোরেশন। ফলে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় নাকাল হতে হচ্ছে নগরের বিভিন্ন এলাকার লোকজনকে। নগরের সৌন্দর্যবর্ধনের আওতায় ভারত সরকারের অর্থায়নে প্রায় এক বছর আগে শুরু হয়েছিল নগরের ধোপাদীঘি সংস্কার ও চারপাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণের কাজ। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর সিকিভাগ কাজও শেষ হয়নি। অপরিকল্পিতভাবে কাজ শুরু করায় কাজে এ ধীরগতি দেখা দিয়েছে বলেও নগর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এমজিএসপির আওতায় ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল আধুনিকায়ন, ৬০ কোটি টাকায় দক্ষিণ সুরমার পারাইরচকে ডাম্পিং ইয়ার্ড উন্নয়ন, ৩০ কোটি টাকায় রাস্তা ও ড্রেন উন্নয়নের কাজ চলছে। ধোপাদীঘি সংরক্ষণ, চারদিকে ওয়াকওয়ে নির্মাণ, নগরের চারাদীঘির পাড়ে ছয় তলা স্কুল ভবন নির্মাণ ও কাস্টঘরে ছয় তলা সুইপার কলোনি নির্মাণের জন্য ভারতীয় সরকার বরাদ্দ দিয়েছে ২১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। কিন্তু এক বছরেও এ কাজের সিকিভাগও শেষ হয়নি। ছড়া ও খাল সংস্কার ও খনন প্রকল্পের জন্য ৩৪ কোটি টাকা বরাদ্দ পেলেও বর্ষার জন্য বন্ধ রয়েছে এ প্রকল্পের কাজ। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে রাস্তা, ড্রেন ও ডিভাইডার নির্মাণ এবং জলাশয় সংরক্ষণের জন্য সিটি করপোরেশনকে বরাদ্দ দেওয়া হয় ১০০ কোটি টাকা। কিন্তু সে কাজও চলছে ঢিমেতালে। এ ব্যাপারে সচেতন নাগরিক কমিটি-সনাক সিলেটের সভাপতি আজিজ আহমদ সেলিম বলেন, ‘নগরের বিভিন্ন স্থানে এই বর্ষায়ও চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। দীর্ঘদিন থেকে এসব কাজ ধীরগতিতে চলায় নগরবাসী মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।’ অপরিকল্পিতভাবে কাজ শুরু করায় এই ধীরগতি ও নাগরিক দুর্ভোগ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উন্নয়ন কাজে ধীরগতি ও নাগরিক দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজর রহমান বলেন, ‘ঈদুল ফিতরের সময় লেবাররা বাড়ি গিয়েছিল। পরে সময়মতো তারা ফিরে আসেনি। এখনো অনেক লেবার ফেরেনি। তাই ঈদের পরপর পুরোদমে কাজ শুরু করা যায়নি। এ ছাড়া এখন বৃষ্টির মৌসুম হওয়ায় সঠিকভাবে রাস্তা সম্প্রসারণ ও ড্রেন নির্মাণের কাজ করা যাচ্ছে না। ফলে কাজে একটু ধীরগতি দেখা দিয়েছে।’

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর