রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

লাইন জটিলতায় আটকে আছে রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন চলাচল

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন সার্ভিস শুরু হওয়ার কথা ছিল শিগগিরই। এনিয়ে দুই দেশের সরকারের উচ্চপর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও হয়েছে। বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে একটি লাইন প্রস্তাব করা হয়। যা ম্যাপিং করার পর দেখা গেছে, প্রস্তাবিত লাইন মালদহ হয়ে ট্রেন চলাচলে সময় বেশি লাগবে প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা। ফলে ট্রেনের ‘লাইন নির্ধারণ’ নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে দুটি ট্রেন বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলাচল করলেও রাজশাহী-কলকাতার ট্রেনের লাইন হবে ভিন্ন। প্রস্তাবিত লাইনে রাজশাহী-কলকাতা ট্রেনটি যাবে ভারতের মালদহের সিঙ্গাবাদ সীমান্ত দিয়ে। ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতের সিঙ্গাবাদ, মালদহ, ফারাক্কা, কাটোয়া, খাগড়াঘাট হয়ে কলকাতার হাওড়ায় রেলস্টেশনে পৌঁছাবে। এ লাইনে কলকাতা যেতে      ৪২৫ কিলোমিটার পথ দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে। সময় লাগবে প্রায় ১১ ঘণ্টা। অথচ বর্তমানে রাজশাহীর যাত্রীদের গেদে সীমান্ত দিয়ে ২১৫ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে কলকাতা যেতে সময় লাগে প্রায় ৫ ঘণ্টা। ফলে নতুন লাইনে দ্বিগুণ দূরত্বের কারণে রাজশাহী-কলকাতা প্রস্তাবিত লাইনে সময়ও লাগবে দ্বিগুণ। তাই ট্রেনটি চালু হলেও ভবিষ্যতে সময় বেশি লাগার কারণে যাত্রী ধরে রাখা যাবে কি না এনিয়ে ভাবছেন রেলওয়ের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা। এদিকে রাজশাহী-কলকাতা রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর ব্যাপারে সর্বশেষ গত বছরের ৩০ অক্টোবর ঢাকায় রেলভবনে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ও ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাসের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। এতে ভারতের পক্ষ থেকে মালদহ হয়ে রাজশাহী-কলকাতা রেল যোগাযোগের লাইন প্রস্তাব রাখা হয়। ওই বৈঠকে জানানো হয়, এখন দুইটি ট্রেন দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত রেলপথ যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু আছে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে ভারতের কলকাতা লাইনে চলাচল করছে ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’, আর খুলনা-কলকাতা লাইনে চলছে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’। ওই বৈঠকে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে রাজশাহী থেকে মালদহ হয়ে কলকাতা পর্যন্ত একটি আন্তঃদেশীয় ট্রেন চালু করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়। উভয়পক্ষের আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয়, বাংলাদেশ এবং ভারতের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর