বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নগরে চ্যালেঞ্জ বাড়ছে!

খুলনা সিটি করপোরেশন

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনা মহানগরীর শেখপাড়া কেডিএ এভিনিউ সড়ক। বেলা ১১টার পরও এখানকার সেকেন্ডারি বর্জ্য ডাম্পিং পয়েন্টে গৃহস্থালি ময়লার ছড়াছড়ি। কাক আর কুকুর সেই আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে খাবার খুঁজছে। বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করা আবর্জনা এখানে জড়ো করায় তা ছড়িয়ে পড়েছে মাঝ সড়ক পর্যন্ত। দুর্গন্ধের কারণে সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের।

জানা যায়, অপরিকল্পিতভাবে দিনের পর দিন যেখানে-সেখানে ময়লা-আর্বজনা ফেলায় ভোগান্তির শেষ নেই। পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে নগরীর নিরালা মোড়, পিটিআই মোড়সহ কয়েকটি সেকেন্ডারি ডাম্পিং  পয়েন্টে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। একইভাবে নগরীর মুজগুন্নী গোয়ালখালি প্রধান সড়ক, শেরে বাংলা রোড, বসুপাড়া, নর্থ খাল ব্যাংক রোড এলাকার ড্রেনগুলো কর্কশিট, প্লাস্টিক বোতল, পলিথিন ও গৃহস্থালির নানা বর্জ্যে ভরে গেছে। এতে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে। কেসিসির ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাবে প্রতিদিন উৎপাদিত বর্জ্যরে শতকরা ৩০ ভাগ ফেলা হয় ড্রেনে।

এতে ময়লা-আবর্জনায় ড্রেনগুলো ভরাট হয়ে বর্ষা মৌসুমে চরম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়ে জনসাধারণ। বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ আশরাফ-উজ্জামান বলেন, যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলার কারণে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় এটা সিটি করপোরেশনের জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ।

 তবে সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আবদুল আজিজ বলেন, প্রায় ৩৩৮ কোটি টাকার ‘খুলনার আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প’ পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছাড়া এ খাতে ভারতীয় সরকারের ৭০ কোটি টাকা সহায়তা পাওয়া যাবে।  

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর