রবিবার, ২৯ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

খুলনায় সুবিধাভোগী সেই নেতারা লাপাত্তা

খাদ্য সংকটে কর্মহীন দুই লাখ মানুষ

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অঘোষিত লকডাউনের শুরুতেই খুলনায় খাদ্য সংকটে পড়েছেন কয়েক হাজার হতদরিদ্র মানুষ। খুলনার সরকারি-বেসরকারি পাটকল ও রূপসার মাছ প্রক্রিয়াকরণ কোম্পানিগুলো বন্ধ থাকায় কর্মহীন দিনমজুররা পরিবার-পরিজন নিয়ে খাদ্য সংকটে পড়েছেন। এ ছাড়া রিকশাচালক, রাজমিস্ত্রি, সবজি বিক্রেতা, দিনমজুরসহ অসংখ্য মানুষ সীমাহীন কষ্টে দিন পার করছেন। এদিকে মানুষের এ দুঃসময়ে পাশে নেই খুলনার রাজনীতিতে সুবিধাভোগী নেতারা। উৎসব-পার্বণে ব্যয়বহুল ব্যানার-ফেস্টুনে নিজেদের ছবি টানিয়ে যারা সারা নগর ছেয়ে ফেলেন তাদের বেশিরভাগই লাপাত্তা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার তীব্র ঝড় বইছে। জানা যায়, খুলনার ছোট-বড় ৭২৬টি বস্তিতে বসবাস করেন নিম্নআয়ের প্রায় দুই লাখ মানুষ। এদের বেশিরভাগই দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইকচালক। আয় না থাকায় এসব হতদরিদ্র মানুষ এক প্রকার না খেয়েই দিন পার করছেন। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) জেলা সম্পাদক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই-খুদা বলেন, যারা দিন আনে দিন খায় এমন মানুষদের দ্রুত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় খাদ্য সহায়তা দিতে হবে। অন্যথায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। তিনি বলেন, রাজনীতির নামে যারা এতদিন সুবিধা নিয়েছেন এ দুঃসময়ে তাদের বেশিরভাগই লাপাত্তা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সমালোচনা হচ্ছে। ফেসবুকে একজন সংবাদকর্মী লিখেছেন, ‘একযুগ আগেও যেসব নেতার রিকশাভাড়া জুটত না। বর্তমানে তাদের নামি-দামি ব্র্যান্ডের গাড়ি হয়েছে। তাদের কতজন খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এ প্রশ্ন এখন নগরবাসীর।’ এদিকে করোনাভাইরাসকে পুঁজি করে আওয়ামী লীগ বা সহযোগী সংগঠনের নামে কোনো অনুদান সংগ্রহ করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক এক বিবৃতিতে এ দুঃসময়ে অনুদান সংগ্রহ নয়, আতঙ্কিত মানুষের পাশে থাকার জন্য নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর