প্রশস্ত সড়ক, উড়াল সেতু, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন-এখন দৃশ্যমান। দুই বছরে নগরীতে নেওয়া প্রকল্পগুলো দৃষ্টিতে পড়ছে। উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ মিলেছে আরও তিন হাজার কোটি টাকা। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন দায়িত্ব নেওয়ার পর এ সময়ে নেওয়া দৃশ্যমান একাধিক প্রকল্প দৃষ্টি কাড়ছে নগরবাসীর। তবে প্রতিশ্রুত কর্মসংস্থানের সুযোগ এখন আটকা পড়েছে করোনায়। তাই পরিকল্পনা পরিবর্তনের পরামর্শ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের। মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আগের মেয়াদে যেসব প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল, সেগুলো মাঝখানে থমকে গিয়েছিল। আবার নতুন করে প্রকল্পগুলোর কাজ শুরু হয়েছে। ১৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে। গত মেয়াদে যেসব সড়ক ফোরলেন করার কথা ছিল, তেমন চারটি রাস্তার কাজ চলছে। সরকার সম্প্রতি তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। ১১৭ ধরনের কাজ হবে সেই টাকা ব্যয়ে। করোনার কারণে সেই কাজের গতি কমে গিয়েছিল। তবে এ বছরের শেষ দিকে তিন হাজার কোটি টাকা থেকে কিছু টাকা ছাড় হওয়ার কথা আছে। মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবেন। কিন্তু দুই বছরে তার কাজ এগিয়েছে সামান্যই। করোনা আরও পিছিয়ে দিয়েছে সেই উদ্যোগ। মেয়র বলেন, রাজশাহীতে শিল্পায়ন না হওয়ায় কর্মসংস্থানের অনেক ঘাটতি। বেকারত্ব বেশি। মানুষের চাহিদাতেও কর্মসংস্থান। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে রাজশাহীতে তিনটি শিল্প এলাকার অনুমোদন দিয়েছেন। ওই শিল্প এলাকাগুলোর কাজ শেষ হলে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ‘নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি মেয়রের জন্য এখন চ্যালেঞ্জের। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে হবে।’ সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সভাপতি আহমদ শফি উদ্দিন বলেন, ‘ঢাকা থেকে টাকা ছাড় করিয়ে এনে প্রকল্প করা কঠিন কাজ। কিন্তু খায়রুজ্জামান লিটন সেটি করছেন। কিন্তু বড় বড় প্রকল্প হলেই কর্মসংস্থান হয় না। এজন্য মেয়র বিশিষ্ট নাগরিকদের পরামর্শ নিয়ে তার কৌশলে পরিবর্তন আনতে পারেন।’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক শাহ আজম শান্তনু বলেন, ‘করোনার কারণে এখন সারা বিশ্বই বিপর্যস্ত। যে প্রক্রিয়ায় আমরা উন্নয়নের দিকে যাচ্ছিলাম, সেখানে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। রাজশাহীতে কর্মসংস্থান, উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, তারও একটা পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।’ সুশাসন বিশ্লেষক সুব্রত পাল বলেন, ‘অনেক উন্নয়ন প্রকল্প চলছে, কিন্তু কর্মসংস্থানটি চ্যালেঞ্জের বিষয়। ফলে মেয়রকে তার পরিকল্পনায় এখন পরিবর্তন নিয়ে আনতে হবে।
শিরোনাম
- মাগুরায় ১৬ ক্লাবের অংশগ্রহণে জমজমাট ক্রিকেট আসর
- ফেনীতে পুলিশের ওপর হামলা, আহত ৩
- কুড়িগ্রামে নতুন নারী জেলা প্রশাসক
- এনসিপি’র মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সময়সীমা বাড়ানো হলো
- জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত
- ছাত্রদের যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবি অধ্যাপক আটক
- কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত
- আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা
- টাকার বস্তা নিয়ে হাসিনা তার আত্মীয়-স্বজনকে ভাগিয়ে দিয়েছে : এ্যানি
- ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
- বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক
- পরমাণু সাবমেরিন তৈরির ব্যাপারে সম্মত দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র
- গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন
- কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোনের বড় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া
- জেমস ও পাকিস্তানের আলী আজমতের কনসার্ট স্থগিত
- সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ
- সমবায় অধিদপ্তরের নতুন ডিজি ইসমাইল হোসেন
- জাপোরিঝিয়ায় সম্মুখযুদ্ধের সৈন্যদের সঙ্গে দেখা করলেন জেলেনস্কি
- রাঙ্গুনিয়ায় শ্রমিকদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
- কাঠামোগত সংস্কারে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি : আইএমএফ
রাসিকের উন্নয়ন দৃশ্যমান হলেও কর্মসংস্থানে হতাশা
পরিকল্পনা পরিবর্তনের পরামর্শ নাগরিক সমাজের
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর