চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন সংঘাতপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পোস্টার ছেঁড়া, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ নানা ইস্যুতে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছেন প্রার্থীর সমর্থকরা। তবে চসিক নির্বাচনের প্রার্থীদের একটি অংশের অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসনের দ্বিমুখী ভূমিকার কারণেই সংঘাতপূর্ণ হয়ে উঠেছে নির্বাচন। প্রশাসনের দ্বিমুখী আচরণের অভিযোগ অস্বীকার করে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) এস এম মোস্তাক আহমদ খান বলেন, ‘স¤পূর্ণ পেশাদারির সঙ্গে পুলিশ কাজ করছে। নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকেই কাজ করতে প্রত্যেক ইউনিটকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা ওই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী পরিবেশ ঠিক রাখতে বদ্ধপরিকর প্রশাসন। এ ক্ষেত্রে জিরো ট্রলারেন্স ভূমিকা নেবে পুলিশ।’ তবে চসিক নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘চসিক নির্বাচনের শুরু থেকেই পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। প্রশাসন এখনো সবার প্রতি এক আচরণ করছে না। প্রশাসনকে এমন ভূমিকা থেকে সরে আসার দাবি করছি।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা দাবি করেন-নির্বাচনে পুলিশ প্রশাসন যথাযথ ভূমিকা পালন করছে না। বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে পুলিশ গোপনে আওয়ামী লীগ এবং বিদ্রোহীদের সমর্থনের কথা বলছে। প্রশাসনের দ্বিমুখী আচরণের কারণে বিভিন্ন এলাকায় দুই পক্ষই বেপরোয়া। ফলে সংঘাতের ঘটনা ঘটছে। সর্বশেষ দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন একজন। জানা যায়, নির্বাচনে ভোটযুদ্ধে রয়েছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, স্বতন্ত্র দলের দুই শতাধিক প্রার্থী। তাদের মধ্যে অর্ধশতাধিকই হচ্ছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী। এর ১৭ জনই সর্বশেষ নির্বাচনে বিজয়ী কাউন্সিলর। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে গত বছরের ২১ মার্চ নির্বাচন স্থগিত হওয়ার আগে পর্যন্ত সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন আওয়ামী লীগ মনোনীত এবং বিদ্রোহী প্রার্থীরা। কখনো পোস্টার টাঙানো কিংবা প্রচারের বাধা, আধিপত্য বিস্তারসহ নানান বিষয়কে কেন্দ্র করে সংঘাতে জড়িয়েছে বারবার। নির্বাচন স্থগিত হওয়ার আগে পর্যন্ত অর্ধ শতাধিক সংঘাত, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত ৮ জানুয়ারি ফের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হলে ফের সংঘাতপূর্ণ হয়ে উঠে নির্বাচন। প্রশাসনের দাবি, চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে নির্বাচনী সংঘাত এড়াতে এরই মধ্যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন। নির্বাচন স্থগিত হওয়ার আগে একাধিকবার সংঘাত হয়েছে এমন ওয়ার্ড ও এলাকাকে সংঘাতপূর্ণ হিসেবে চিহ্নত করা হয়েছে। ওই এলাকাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার বৃদ্ধি, টহল জোরদার এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
শিরোনাম
- গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি কঠোর করে ইরানের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস
- বিএনপির বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার হাওয়ায় মিলে গেছে : রিজভী
- গাকৃবিতে গমের ব্লাস্ট রোগ দমনে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ
- নোয়াখালীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ
- নারায়ণগঞ্জে দেশের প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন
- রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
- রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি
- ই-স্পোর্টসকে ‘ক্রীড়া’ হিসেবে ঘোষণা
- বরিশালে পৃথক অভিযানে মাদক ও জালনোটসহ আটক ৪
- সিভাসুতে রাজনৈতিক পদায়ন পাওয়া তিন কর্মকর্তাকে পদাবনতি
- খাগড়াছড়িতে মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের সমাবেশ
- দেশ ও দলের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে: নবীউল্লাহ নবী
- অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পেট্রোল ঢেলে হত্যার চেষ্টায় স্বামী গ্রেফতার
- ১৩ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা
- নেত্রকোনার ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু
- রাজবাড়ীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
- গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
- মুখে ভালো কথা বলে সবার ওপর বোমা মারেন পুতিন, বললেন ট্রাম্প
- সিলেটে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
- পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা