বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

জালিয়াতির মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে জি কে শামীমকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জালিয়াতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)-এর একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ হাতিয়ে নেওয়া মামলায় আলোচিত গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল জি কে শামীমকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেয় চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেনের আদালত। দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, ‘জাল কাগজপত্র দিয়ে চবি’র ষষ্ঠ একাডেমিক ভবনের ৭৫ কোটি টাকার নির্মাণ কাজ হাতিয়ে নিয়েছেন জি কে শামীম। এ অভিযোগে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে জি কে শামীমকে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।’ জানা যায়, চবির ষষ্ঠ একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মাণ কাজের

জন্য ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট টেন্ডার আহ্বান করা হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কার্যাদেশ পায় দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স (জিকেবিএল)। টেন্ডারের শর্ত অনুযায়ী ওই প্রতিষ্ঠানের পাঁচ বছরে কমপক্ষে একটি ৩৫ কোটি টাকার বহুতল ভবন নির্মাণ কাজের সন্তোষজনক ভাবে সমাপ্তি সনদপত্র দেওয়ার কথা। পাঁচ বছরে গড়ে কমপক্ষে ৪১ কোটি টাকার টার্নওভার এবং ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকার লিকুইট অ্যাসেট সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়।

 দুদকের অভিযোগ- জালিয়াতির মাধ্যমে প্রকৃত নিবন্ধিত নামের সঙ্গে একক মালিকানাধীন ফার্মের নাম সংযুক্ত করে নিবন্ধনের সনদ জমা দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে চুক্তির কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়নি। দুদক অনুসন্ধানে জানতে পারে অতি সূক্ষ্ম তথ্যগত জালিয়াতির মাধ্যমে চবির নির্মাণ কাজটি হাতিয়ে নেওয়া হয়। ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ সহকারী পরিচালক ফখরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে জি কে শামীম ছাড়াও আসামি করা হয় দ্য বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল করিম চৌধুরীকে।

প্রসঙ্গত, সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর গ্রেফতার হন জি কে শামীম। নিজেকে যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা দাবি করে নির্মাণ সেক্টরের নানান প্রকল্প হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। জি কে শামীম ঢাকার জি কে বি এল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর