শিরোনাম
রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বাড়ছে ফেরিঘাটে

প্রতিদিন ডেস্ক

ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বাড়ছে ফেরিঘাটে

বিভিন্ন ফেরিঘাটে গতকাল ঢাকামুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে -বাংলাদেশ প্রতিদিন

আজ থেকে রাজধানীসহ সারা দেশের দোকানপাট ও শপিং মল খোলার ঘোষণা থাকায় গতকাল বিভিন্ন ফেরিঘাটে ঢাকামুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো বিবরণ- রাজবাড়ী : আজ সকাল থেকে রাজধানীসহ সারা দেশের দোকানপাট ও শপিং মল খোলার ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গতকাল রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের প্রচ- ভিড় হয়েছে। লঞ্চ বন্ধ থাকায় সীমিতসংখ্যক ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে যাত্রী ও চালকদের। এতে তীব্র দাবদাহে চরম ভোগান্তিতে পড়েন তারা। এদিন রাজবাড়ী থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা যাত্রী মো. আবু তৈয়ব বলেন, ‘প্রায় দুই ঘণ্টা ফেরির টিকিট কেটে ফেরিঘাটে বসে আছি। এখন পর্যন্ত ফেরিতে উঠতে পারিনি। ফেরি আসার সঙ্গে সঙ্গে সবাই ফেরিতে উঠে যায়, সে কারণে এখানেই অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’ জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক চালক (মিল্কভিটার চালক) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দেশের গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট। জরুরি পণ্য পরিবহনের জন্যও এখানে ১০/১২টি ফেরির প্রয়োজন। সেখানে ২/৩টি ফেরি দিয়ে এসব যানবাহন পারাপারের নামে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।’ দ্রুত সময়ের মধ্যে এ রুটে ফেরি বৃদ্ধির দাবি করেন তিনি। বিআইডব্লিউটিসির পাটুরিয়া ঘাট শাখার বাণিজ্য বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেন, ‘দোকানপাট খোলার ঘোষণায় ফেরিঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। দিনের বেলায় কতগুলো ফেরি চলবে সেই সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি।’ মাদারীপুর : মাদারীপুরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুট হয়ে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচে পড়া চাপ পড়েছে। গতকাল সকাল থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর চাপ আরও বেড়েছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, অনেক ক্ষেত্রে যাত্রীর চাপে জরুরি যানবাহন পারাপারও ব্যাহত হয়।

 মাত্র পাঁচটি ফেরি দিয়ে পারাপার করায় এবং অধিকাংশ ফেরি ও সব লঞ্চ বন্ধ থাকায় ফেরিগুলোতে বেশি যাত্রীর ভিড় হয়। অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হয়েছে চরমভাবে। ঘাট এলাকায় ব্যক্তিগত যানবাহন ও পণ্যবাহী ট্রাকের সারি দিনভর ছিল। মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে বাড়তি ভাড়া দিয়ে ঘাটে আসেন যাত্রীরা। লঞ্চ বন্ধ থাকলেও প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্পিডবোট ও ট্রলারে পারাপার হন তারা। ইজিবাইক, সিএনজি, মোটরসাইকেলে বরিশাল থেকে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, গোপালগঞ্জ ৫০০ টাকা, খুলনা ৭০০ টাকা, মাদারীপুর ২০০ টাকা, বাগেরহাট ৬৫০ টাকাসহ প্রতিটি যানবাহনেই কয়েকগুণ ভাড়া আদায় করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর