বুধবার, ১৯ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

শালবন বিহারে সুনসান নীরবতা

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

শালবন বিহারে সুনসান নীরবতা

কুমিল্লার শালবন বৌদ্ধ বিহারে ঈদ আর বিভিন্ন উৎসবে দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড় থাকে। এবার ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীর ভিড় নেই। সেখানে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা। কুমিল্লায় পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতী জাদুঘর। বৌদ্ধ বিহার ছাড়াও পাশের রূপবানমুড়া, কোটিলা মুড়া, নগরীর চিড়িয়াখানা ও বাণিজ্যিক পার্কগুলোরও এবার একই অবস্থা। সূত্রমতে, কুমিল্লা নগরী থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে শালবন বিহার। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রেল ও সড়কপথে যাতায়াতের সুব্যবস্থা থাকায় দর্শনার্থীরা এখানে সহজে আসতে পারেন। এখানে অষ্টম শতকের পুরাকীর্তি রয়েছে। রয়েছে ময়নামতী জাদুঘর। জাদুঘরের পাশে রয়েছে বন বিভাগের পিকনিক স্পট। শালবন বিহারের পাশে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড)। গতকাল বিকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতী জাদুঘর এলাকায় দর্শনার্থীর আনাগোনা নেই। গেটে তালা। ভিতরে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন রঙের ফুল তার রূপের পসরা সাজিয়ে বসে আছে। কিন্তু তার রূপ দেখার কেউ নেই। পাতা বাহারও তার সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে। তাল গাছের মাথায় বাসা বোনায় ব্যস্ত বাবুই পাখি। খেজুর গাছের মাথায় ঝুলছে হলুদ ফলের কাঁদি। ক্রেতা না থাকায় বিহারের সামনের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা হতাশ মুখে বসে আছেন। এদিকে কিছু দর্শনার্থী এসে শালবন বিহার বন্ধ পেয়ে পাশের শাল বাগানে ঘোরাফেরা করছেন।

সাইফুল ইসলাম নামের একজন ব্যবসায়ী জানান, স্বাভাবিক সময়ে ১০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারতাম। আজ ১ হাজার টাকাও বিক্রি করতে পারিনি। মানুষ না থাকলে কার কাছে বিক্রি করব? বুড়িচং থেকে আসা দর্শনার্থী গোলাম সারোয়ার বলেন, করোনায় সব বন্ধ। ঈদ উপলক্ষে শিশুরা ঘুরতে যেতে চায়। বাধ্য হয়ে এদিকে এসেছি। এসে দেখি সব কিছু বন্ধ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া উচিত। প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. আতাউর রহমান জানান, ঈদের ছুটিতে এখানে দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড় থাকত। করোনার কারণে গতবারের মতো এবারও শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতী জাদুঘর বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে এর রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারে আমরা সচেষ্ট রয়েছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর