শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা
কালের কণ্ঠ ও ব্র্যাক গোলটেবিল বৈঠক

দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রকল্পভিত্তিক প্রস্তুতি থেকে বের হতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে দেশ। তাই ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় শুধু প্রকল্পভিত্তিক প্রস্তুতি কার্যক্রমে আটকে থাকলে হবে না। সঠিক পরিকল্পনা প্রকল্প ও বাস্তবায়নের সঙ্গে প্রকল্প-পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। গড়ে তুলতে হবে উপযুক্ত প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো। যেহেতু ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়, তাই সচেতনতাই রক্ষার অন্যতম উপায়। সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি বিল্ডিং কোড যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সেবা সংস্থার মধ্যে সমন্বয় গড়ে তুলতে হবে। গতকাল কালের কণ্ঠ ও ব্র্যাকের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘ভূমিকম্পের ঝুঁকি ও প্রস্তুতি’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। আলোচনায় অংশ নেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। সঞ্চালনা করেন কালের কণ্ঠ সম্পাদক ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ইমদাদুল হক মিলন। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের হিউম্যানিটেরিয়ান প্রোগ্রামের পরিচালক সাজেদুল হাসান। আলোচনায় আরও অংশ নেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মাকসুদ কামাল, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার মো. সাজ্জাদ হোসাইন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও সাবেক প্রকল্প পরিচালক (সিডিএমপি) আবদুল কাইয়ূম, বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক তাহমীদ মালিক আল হুসাইনী,বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সের রিপ্রোডাকটিভ অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. রওশন আরা, আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ, ইউএনডিপির সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি খুরশিদ আলম, ইউএন উইমেনের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট দিলরুবা হায়দার, ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ মমিনুল ইসলাম ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উপ-পরিচালক সাবিনা ইয়াসমিন।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, ভূমিকম্প দুর্যোগের আগে থেকে যত প্রস্তুতি নেওয়া যায় ততই মঙ্গল। জাপান বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হওয়ার পরও তারা এখন প্রায় ভূমিকম্প সহনীয় দেশ হয়ে উঠেছে। ১০ মাত্রার ভূমিকম্পেও কোনো ক্ষতি হয় না। এ পর্যায়ে আসতে তাদের ৩০ বছর লেগেছে। তারা বলেছে, আমাদের ৫০ বছর লাগতে পারে। তাই এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের অনেক বড় প্রস্তুতি নিয়ে রাখা দরকার। সিলেট, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা শহর বেশি ঝুঁকিতে আছে। সিলেট এলাকায় ভূমিকম্প হলে সেটার প্রভাব ঢাকায়ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা আছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর