পুস্তক বিপণি হিসেবে পরিচিত নগরীর জিন্দাবাজারস্থ রাজা ম্যানশন। প্রায় অর্ধশত বছরের পুরনো তিনতলা মার্কেটটি এখন সিটি করপোরেশনের ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ভবনের তালিকায়। ঘনঘন ভূমিকম্পের কারণে ১০ দিন বন্ধ রাখার পর ফের খোলা হলেও মার্কেটটির বর্তমান অবস্থা নিয়ে সিটি করপোরেশন, মার্কেটের মালিক এবং দোকান মালিক পক্ষের মধ্যে চলছে টানাটানি। সিটি করপোরেশন ও মার্কেট মালিক পক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করে ভেঙে ফেলতে চায় মার্কেটটি। আর দোকান মালিক পক্ষের অভিযোগ কেবল হয়রানির লক্ষ্যেই মার্কেটটিকে ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করা হচ্ছে। তিন পক্ষের এই টানাটানিতে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন মার্কেটের প্রায় ২০০ ব্যবসায়ী। মার্কেটটির বর্তমান অবস্থা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। মার্কেটটি আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ হলে বড় ভূমিকম্পে জানমালের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল। বাহ্যিকভাবে জরাজীর্ণ রাজা ম্যানশনকে ২০১৯ সালে ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট হিসেবে ঘোষণা করে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। গত ২৯ ও ৩০ মে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিলেট নগরীতে পাঁচবার ভূমিকম্প অনুভূত হলে রাজা ম্যানশনসহ ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি মার্কেট ও ভবন ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে সিসিক। এরপর শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ ও সিসিকের প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টিম মার্কেটগুলো পর্যবেক্ষণ শেষে খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বাহ্যিক কাঠামো ও বর্তমান অবস্থা দেখে মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তাদের মত দেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য তারা সয়েল টেস্ট ও মার্কেটের নকশা দেখতে চান। এদিকে, বিশেষজ্ঞদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগেই মার্কেটের মালিক (জমিদার) হাছন রাজার প্রপৌত্র দেওয়ান শমসের রাজা চৌধুরী সংবাদ সম্মেলন করে রাজা ম্যানশনটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, মার্কেটটি বর্তমানে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। ভূমিকম্পে জানমালের ক্ষতির আশঙ্কায় সিসিক মার্কেটটি বন্ধ ঘোষণা করেছিল। পরে ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটটি কিসের ভিত্তিতে সিসিক ফের খুলে দেওয়ার অনুমতি দিল- সংবাদ সম্মেলনে সেই প্রশ্ন রাখেন শমসের রাজা। তিনি বলেন, মার্কেটের দোকান মালিকদের অসহযোগিতার কারণে মালিকপক্ষ মার্কেটটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করতে পারছে না। তাই মার্কেটে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায়দায়িত্বও মালিকপক্ষ নেবে না। অন্যদিকে শমসের রাজা চৌধুরীর এমন বক্তব্য উড়িয়ে দিয়ে মার্কেটের দোকান মালিক সমন্বয় কমিটির সভাপতি আবদুল খালিক বলেন, মার্কেটের সয়েল টেস্টের রিপোর্ট বলছে মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ নয়। এরপরও সিসিক কিসের ভিত্তিতে মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করছে তার কোনো কারণ জানানো হয়নি। মার্কেটের মালিকপক্ষও ভিত্তিহীন কথা বলছে। শমসের রাজা কোনো যুক্তি ছাড়াই মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করে ভেঙে ফেলতে চাইছেন। এদিকে, সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, ২০১৯ সালে রাজা ম্যানশনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দল মার্কেটটি পর্যবেক্ষণ করে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করেছে। এখন সয়েল টেস্টের রিপোর্ট ও নকশা দেখে তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে। তাদের মতামত পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে মার্কেটটি সংস্কার করে ঝুঁকিমুক্ত করা যাবে কি না। ঝুঁকিমুক্ত করা না গেলে মার্কেটটি ভেঙে ফেলা হবে।
শিরোনাম
- ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
- রাজশাহীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীসহ গ্রেপ্তার ২৭
- ডিবির অভিযানে আওয়ামী লীগের ২৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার
- ঝিনাইদহে প্রবাসী হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার
- এখন থেকে অনলাইনেই পাওয়া যাবে ফায়ার সেফটি প্ল্যানের অনাপত্তি সনদপত্র
- ‘সৎ সাহস থাকলে হাসিনা বিচারের মুখোমুখি হতেন’
- বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকে ফের পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ
- স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
- বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের
- মাদারীপুরে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন, টহল জোরদার
- ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গাছ ফেলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
- নারায়ণগঞ্জ শহরে জামায়াতের অবস্থান কর্মসূচি
- সাভার ও ধামরাইয়ে নাশকতার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৫
- ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে
- রাজধানীর নিরাপত্তায় ১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন
- হাসিনার মামলার রায় দিতে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম চলছে
- মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী
- মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন
- লুটের টাকায় ককটেল কিনে আওয়ামী লীগের নাশকতা : রিজভী
- শাকসুর প্রার্থী হতে লাগবে ডোপ টেস্ট