বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে প্রয়োজন সচেতনতা : খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, উৎপাদক থেকে ভোক্তা সবাইকে নিরাপদ ও পুষ্টিমানসম্পন্ন খাবার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। মাঠে উৎপাদিত ফসল কিংবা পুকুরের তাজা মাছ ভোক্তার টেবিল পর্যন্ত যেতে যে কোনো পর্যায়ে অনিরাপদ হতে পারে। তাই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে প্রয়োজন সবার সচেতনতা ও সদিচ্ছা। গতকাল রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন অডিটোরিয়ামে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। খাদ্য সচিব ড. মোসাম্মাৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আবদুল কাইউম সরকার। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠিত হওয়ার পর থেকে এ প্রতিষ্ঠান ভোক্তার কাছে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ করছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, সভা-সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে ভোক্তাদের সচেতন করা হচ্ছে।পাশাপাশি খাদ্য উৎপাদক ও ব্যবসায়ীদেরও সেনসিটাইজ করা হচ্ছে। ১৮ কোটি মানুষের খাবারের সংকট নেই। এখন জনগণকে পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। আশা করি সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের পাশাপাশি সুস্থ সবল জাতি গঠনে ভূমিকা রাখবে।

 তিনি বলেন, করোনা মহামারিকালেও দেশে খাদ্যের অভাব হয়নি। একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। নিম্ন আয়ের মানুষ যাতে কষ্ট না পায় সেজন্য সারা দেশে জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে ওএমএসের মাধ্যমে চাল বিক্রি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, একটা সময় আমরা খাদ্য সংকট দূর করতে চেয়েছি। এখন সরকার চায় নিরাপদ ও পুষ্টিসম্মত খাদ্য নিশ্চিত করতে। পরে গুণগত মানের আরও সমৃদ্ধ খাদ্য সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করবে। খাদ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য সরকার দেশে আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি স্থাপন করেছে। ল্যাবরেটরিতে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম পরীক্ষা করে এর গুণগত মান ও পুষ্টিমান নিশ্চিত করা যাচ্ছে। আজ বাংলাদেশে খাদ্যের সংকট নয়, উদ্বৃত্ত থাকছে।

‘সুস্বাস্থ্যের মূলনীতি, নিরাপদ খাদ্য ও স্বাস্থ্যবিধি’ এ প্রতিপাদ্যে দেশব্যাপী জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২২ পালিত হয়েছে গতকাল।

সর্বশেষ খবর