রবিবার, ২২ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

রাবি ছাত্রলীগের সম্মেলন কতদূর?

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

ঈদুল ফিতরের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের ২৬তম সম্মেলন হবে বলে জানিয়েছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। গত ১৪ মার্চ রাবি ছাত্রলীগের সমন্বিত হল সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। তবে ঈদের ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও রাবি ছাত্রলীগের সম্মেলন দিতে কেন্দ্রের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কমিটির কোনো তৎপরতা নেই। বারবার আশ্বাস পেয়েও সম্মেলন না হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন পদপ্রত্যাশীরা। পদপ্রত্যাশীদের অভিযোগ, সম্মেলন আরও পিছানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির বর্তমান সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ফলে সাধারণ কর্মীদের মনে প্রশ্ন- রাবি ছাত্রলীগের সম্মেলন কতদূর? জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর ২৫তম সম্মেলনের পর ১১ ডিসেম্বর নতুন কমিটি দেওয়া হয়। এরই মধ্যে এক বছর মেয়াদি ২৫১ সদস্য বিশিষ্ট ওই কমিটির প্রায় দেড় শতাধিক নেতা-কর্মী ক্যাম্পাস ছেড়েছেন। অনেকে পড়াশোনা শেষ করে চাকরির পাশাপাশি বিয়েও করে ফেলেছেন। আবার যারা সক্রিয় আছেন তাদের ছাত্রত্ব নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। বর্তমান কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম সরকার ডন বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারা এবং স্থানীয় অভিভাবকদের আশ্বাসে এবং তাদের সম্মানার্থে আমরা চুপ করে আছি। কিন্তু আমাদের এই চুপ করে থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যদি বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি, সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় অভিভাবকদের ধরনা দিয়ে সম্মেলন পিছানোর পাঁয়তারা করা হয়, আমরা তা হতে দিব না। আমরা আর এ মাসটা দেখব। এ মাসের মধ্যে সম্মেলনের তারিখ না ঘোষণা করা হলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলব। সহ-সভাপতি কাজী আমিনুল ইসলাম লিংকনও একই সুরে কথা বলেন।

বর্তমান কমিটির ধর্মবিষয়ক উপ-সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম দুর্জয় বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে নতুন নেতৃত্ব নেই। নতুন কর্মী যুক্ত হলেও তার চাইতে বেশি কর্মী দিনে দিনে নিষ্ক্রিয় হচ্ছে। আর এই মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ক্যাম্পাসে বেপরোয়াভাবে সিট বাণিজ্য করেই চলছে। রাবি ছাত্রলীগের দেশব্যাপী যে একটা সুনাম ছিল সেটা এরা শেষ করে দিয়েছে। আমরা আপাতত কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় অভিভাবকদের আশ্বাসে এবং তাদের সম্মানার্থে নীরব আছি। আমাদের নীরবতাকে দুর্বলতা মনে করে যদি কেউ আমাদের অভিভাবকদের ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে উল্টোপাল্টা তথ্য দেওয়ার এবং অন্য ছক আঁকার চেষ্টা করে, তাহলে আমরা তা সহ্য করব না।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘আমরা সম্মেলন দেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত, কেন্দ্রীয় কমিটি যখনই চাইবে রাবিতে তখনি সম্মেলন হবে।’ আর পদপ্রত্যাশীদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সম্মেলন করেও তো পূর্ণাঙ্গ হল কমিটি দেওয়া যাবে। এটার সঙ্গে সম্মেলনের কোনো সম্পর্ক নেই।’

সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, সম্মেলনের বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের ওপর। তারা যখন চাইবেন, তখনি সম্মেলন হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর