মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০২২ ০০:০০ টা
কুমিল্লা সিটি নির্বাচন

ভোট এলেই আলোচনায় যানজট আর জলাবদ্ধতা

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) এটি তৃতীয় নির্বাচন। গত দুই নির্বাচনেও আলোচনায় ছিল যানজট-জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়টি। নির্বাচনের পর যানজট-জলাবদ্ধতা নিয়ে কেউ ভাবে না। এ নিয়ে উল্লেখযোগ্য তেমন কাজ হয়নি বলেও মন্তব্য করেন নাগরিকরা। যানজটে সড়কে মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকে। দুই ঘণ্টার বৃষ্টিতে ডুবে যায় নগরী। এদিকে গত দুই নির্বাচনের মতো এবারও ব্যতিক্রম নয়। প্রায় সব প্রার্থী তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে যানজট-জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়টি তুলে আনবেন। এবারের নির্বাচন ১৫ জুন। সেদিন প্রথম আষাঢ়। বিজয়ী হয়ে নতুন মেয়র দায়িত্ব নেবেন ভরা বর্ষায়। নতুন প্রার্থীরা সবাই পূর্বে দায়িত্ব পালনকারী মেয়রকে অভিযুক্ত করেছেন। তবে যিনি দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি বলেছেন বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথা। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত বলেছেন, সাবেক মেয়র চেষ্টা করলে নগরীকে যানজট ও জলাবদ্ধতা নিরসনে ভূমিকা নিতে পারতেন। আমি নির্বাচনী ইশতেহারে যানজট-জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়টি গুরুত্ব দেব। নির্বাচিত হলে সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে যানজট ও জলাবদ্ধতা নিরসনে ভূমিকা রাখব। আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান ইমরান বলেন, যানজট-জলাবদ্ধতা নগরীর প্রধান সমস্যা। গত ১০ বছর যারা দায়িত্বে ছিল তারা কাজ না করে লুটপাটে ব্যস্ত ছিল। মানুষ যতদিন সচেতন না হয়। যোগ্য প্রার্থী যদি নির্বাচন না করে তাহলে নগরবাসীকে দুর্ভোগ থেকে মুক্ত করা কঠিন। স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে বহিষ্কৃত মেয়র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, নির্বাচন এলে আমরা যানজট-জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করি। আমি নির্বাচনী ইশতেহারে যানজট-জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেব। নির্বাচিত হলে সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে মানুষকে এ দুর্ভোগ থেকে মুক্ত করব।

বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সদ্য সাবেক মেয়র, মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু বলেন, রুটিন ওয়ার্কগুলো করেছি।

যানজট নিরসনে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। চকবাজার ও শাসনগাছা বাস টার্মিনাল সরানোর জন্য ইতোমধ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল সম্প্রসারণের ব্যবস্থা নিয়েছি। এতে যানজট কমবে। পাশাপাশি শহরের অটোরিকশাসহ পরিবহনগুলো দুই ধাপে চালানোর একটি পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, গত ১০ বছরে ৬৫০ কোটি টাকা পেয়েছি। যার মধ্যে অল্প কিছু টাকা একনেক দিয়েছে। সম্প্রতি একনেকে ১৫৩৮ কোটি টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতদিন টাকার অভাবে অনেক কাজ করতে পারিনি। এবার নির্বাচিত হলে বাকি কাজ সম্পন্ন করব। উল্লেখ্য, ২৬ মে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার। ২৭ মে প্রতীক বরাদ্দ। ১৫ জুন ভোট গ্রহণ করা হবে। এ নির্বাচনে ছয়জন মেয়র প্রার্থী, ১১১ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী, ৩৭ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর